শোয়েব আক্তার »
ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত ক্রিকেট বিষয়ক ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় পত্রিকা উইজডেন গত দশ বছরের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি একাদশ তৈরি করেছে যাতে নাম রয়েছে বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নাম ও। জুয়াড়ির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেও আইসিসি কে না জানানোয় দুই বছরের জন্য (এক বছর স্থগিত) সব ধরণের ক্রিকেট নিষিদ্ধ থাকলেও এই দশকের সেরা অলরাউন্ডার কে একাদশে রাখতে ভুল করে নি উইজডেন।
সাকিব আল হাসান ছাড়াও একাদশে রয়েছেন এ সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি কিংবা কিছুদিন আগে ক্রিকেট কে বিদায় বলা এবি ডি ভিলিয়ার্সদের মতো সেরা ক্রিকেটারদের নাম।
উইজডেনের একাদশে ওপেনার হিসেবে আছেন ভারতের সহ অধিনায়ক রোহিত শর্মা। গত দশ বছরে ১৭৯টি ওয়ানডে ম্যাচে ৫৩.৫০ গড়ে ৮,১৮৬ রান করেছেন রোহিত।
রোহিত শর্মা তাঁর ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের কে। শেষ দশ বছরে ১০৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪৭.৮৮ গড়ে করেছেন ৪,৮৮৪ রান।
একাদশে ওয়ান ডাউনে আছেন বিরাট কোহলি। উল্লেখিত সময়ে ২২৬টি ওয়ানডে ম্যাচে ৬০.৬৫ গড়ে ১১,০৪০ রান করেন কোহলি।
একাদশের চার নম্বরে আছেন থ্রি সিক্টটি ডিগ্রি ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২০১০ সাল থেকে সাবেক এই প্রোটিয়া অধিনায়ক করেন ১৩৫ ওয়ানডেতে ৬৪.২০ গড়ে ৬,৪৮৫ রান।
পাঁচ নম্বরে আছেন ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলার। ১৪২টি ওয়ানডেতে ৪০.৮৮ গড়ে ৩,৮৪৩ রান করেন তিনি। এরপর আছেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১৯৬টি ওয়ানডেতে ৫০.৩৫ গড়ে তিনি করেন ৫,৬৪০ রান।
সাকিব আছেন তালিকার সাত নম্বরে। উল্লেখিত সময়ে ১৩১টি ওয়ানডেতে ৩৮.৮৭ গড়ে চার ৪,২৭৬ রান করেন তিনি। বল হাতে নেন ১৭৭টি উইকেট। একাদশে একমাত্র স্পিনার তিনি।
একাদশে আট নম্বর অবস্থানে আছেন শ্রীলঙ্কান ফাস্ট বোলার লাসিথ মালিঙ্গা। ১৬২টি ম্যাচে ২৪৮টি উইকেট নেন মালি। তারপরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক। ৮৫টি ওয়ানডেতে ২০.৯৯ গড়ে ১৭২টি উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক।
নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টের নামও আছে এই একাদশে। গত দশ বছরে বোল্ট ৮৯টি ওয়ানডে খেলে ২৫.০৬ গড়ে ১৬৪টি উইকেট নিয়েছেন। একাদশের শেষ নামটি প্রোটিয়া পেসার ডেল স্টেইনের। ৯০টি ওয়ানডেতে ১৪৫টি উইকেট নিয়েছেন এই ফাস্ট বোলার।