নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে ঘুড়ে দাড়িছে সিলেট বিভাগ। প্রথম রাউন্ডে বরিশালের সাথে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাজে ভাবে হারে সিলেট। ১৭ অক্টোবর দ্বিতীয় রাউন্ডে বগুড়ায় ঢাকা মেট্রোর মুখোমুখি হয় সিলেট। টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সিলেট কাপ্তান অলক কাপালি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ ও শহিদুল ইসলামের ফিফটিতে ৮৩.৪ ওভারে অলআউট হয়ে ২৪৬ রান সংগ্রহ করে ঢাকা মেট্রো। মাহমুদউল্লাহ ৬৩ ও শহিদুল ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। দলের পক্ষে অন্য কেউ বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি, তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন আবু হায়দার। ঢাকার সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন রেজাউর রহমান।
ঢাকার পর সিলেট প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেনে ০ রানে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের (০) উইকেট হারায়। তবে সে ধাক্কা সামলে নেন সিলেটের ব্যাটসম্যানরা, ৪ ফিফটিতে ৮৪.৫ বলে ৩১৯ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয় সিলেট। ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনকে হারিয়ে থেমে থাকেন নি অপর ওপেনার তৌফিক খান, খেলেন ৬৯ রানের ঝলমলে ইনিংস। তৌফিক খানের পর তিনটি ৫০+ রানের ইনিংস খেলেন জাকির হাসান ৭১, অলক কাপালি ৫৪ ও জাকার আলী ৫১। সিলেটের সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন আবু হায়দার।
ঢাকা মেট্রো দ্বিতীয় ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ ছাড়া কেউ বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেন নি। ১১৯ ওভারে ২৭৩ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয় ঢাকা। রিয়াদের ব্যাট থেকে অসাধারণ সেঞ্চুরি, খেলেন ১১১ রানের ইনিংস। যা প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে রিয়াদের ১২তম শতক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান আসে শহিদুলের ব্যাট থেকে। আবু জায়েদ রাহী নেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সিলেট প্রথম উইকেট টি হারায় ওপেনার তৌফিক খানের, প্রথম ইনিংসে ৬৯ রান করতে পারলে ও দ্বিতীয় ইনিংসে মাএ ১০ রানে ফিরে যান। তৃতীয় উইকেটে জাকির হাসান ব্যাট করতে এসে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনকে সাথে নিয়ে ১৬২ রানের জুটি গড়েন। যা সিলেটের জয়ের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। ইমতিয়াজ শেষ পর্যন্ত থাকলে পারলো ও থাকতে পারেন নি জাকির হাসান, ৭২ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ইমতিয়াজ হোসেন
১৭৮ বলে ১১ চারে ও ১ ছয়ে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন। ইমতিয়াজ হোসেন আফিফকে (৮) সাথে নিয়ে ৮ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ-
ঢাকা মেট্রো- ২৪৬ এবং ২৭৩
সিলেট- ৩১৯ এবং ২০৪/২
ফলাফল- সিলেট বিভাগ ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা- জাকির হাসান।