নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ১৯৯৮ সালের পর স্বাগতিক ইংলিশদের বিপক্ষে সাদা বলে তাদের এটা প্রথম সিরিজ জয়।
সাউথ্যাম্পটনে রোববার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৯০ রানে। হারে শুরুর পর টানা দুই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ সফরকারীরা জিতে নিল ২-১ ব্যবধানে।
২০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেট হারিয়ে করে ১৯১ রান। ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় স্রেফ ১০১ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বড় সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদান হেনড্রিকসের। এই ওপেনার ৫০ বলে ৯ চারে খেলেন সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস। মারক্রাম ৩৬ বলে ৫ চারে করেন অপরাজিত ৫১ রান।
বল হাতে ৪ ওভারে ২৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার শামসি। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার এই সংস্করণে প্রথমবার পেলেন এই স্বাদ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শূন্য রানে ডি কককে হারানোর ধাক্কা দ্রুত সামলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আগের ম্যাচে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলা রাইলি রুশো এদিনও শুরুটা করেন ভালো। ক্রিস জর্ডানের পাঁচ বলের মধ্যে ৪টি চার মারেন তিনি। যদিও ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। ১৮ বলে ৬ চারে ৩১ রান করে বোল্ড হন মইন আলির বলে।
এরপরই তৃতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা সর্বোচ্চ ৬১ বলে ৮৭ রানের জুটি পায় হেনড্রিকস ও মারক্রামের সৌজন্যে।
বৃষ্টির বাধায় প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে খেলা বন্ধ হয় দুই দফা। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ছন্দে যদিও ব্যাঘাত ঘটেনি। হেনড্রিকস সিরিজে টানা তৃতীয় ও ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি তুলে নেন ৪২ বলে।
তার ৭০ রানের ইনিংস থামে জর্ডানের স্লোয়ারে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়ে। মারক্রাম ফিফটি করেন ৩৬ বলে। মিলার তোলেন ঝড়। শেষ ওভারে তিনি আউট হন ৯ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ২২ রান করে।
রান তাড়ায় ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ইংল্যান্ডের শুরুটা হয় আশা জাগানিয়া। কিন্তু শুরুর জুটি ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারায় তারা।
স্বাগতিকদের ইনিংসে ত্রিশ ছুঁতে পারেননি কেউই। চারে নেমে জনি বেয়ারস্টো সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ৩০ বল খেলে।
অধিনায়ক জস বাটলারকে ফিরিয়ে ইংলিশদের প্রথম ধাক্কাটা দেন বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজ। আরেক ওপেনার জেসন রয়কে বিদায় করেন কাগিসো রাবাদার চোটে সুযোগ পাওয়া আনরিক নরকিয়া।
দুই অঙ্কে যেতে পারেননি দাভিদ মালান। ত্রিস্টান স্টাবসের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে বিদায় নেন মইন। এরপর একে একে লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম কারান, ডেভিড উইলি, ক্রিস জর্ডান ও আদিল রশিদকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন শামসি।
ডেল স্টেইনকে (৬৪) ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও হয়ে গেলেন তিনি (৬৬)। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।
তিন ফিফটিতে ১৮০ রান করে সিরিজের সেরা হেনড্রিকস।