নিউজ ডেস্ক »
খালেদ মাসুদ পাইলট, বাংলাদেশ ক্রিকেটের রুপকারদের অন্যতম সারথি, যারা ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জিতিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে পূর্ণতা দিয়েছিল, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। দেশের প্রতি যাদের ছিল অকৃত্রিম ভালবাসা, যেকোনো কিছুর বিনিময়ে দেশের মান উঁচু করা।দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ সেই পাইলট ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফির ফাইনালের শেষ ওভারে নিজের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় কিছুর বিনিময়ে হলেও বাংলাদেশের জয় আল্লাহর কাছে ছেয়েছিলেন।
বাংলাদেশের বর্তমান ওডিয়াই অধিনায়ক তামিম ইকবালের আমন্ত্রণে ফেসবুক লাইভে এসে এই কথা জানান পাইলট। ঐ লাইভে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই জীবন্ত কিংবদন্তি আকরাম খান এবং মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
সেই ফাইনালে তৎকালীন শক্তিশালী দল কেনিয়ার বিপক্ষে জয়ের জন্য ব্যাট করা বাংলাদেশের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। সেই সময় উইকেটে ব্যাটিং প্রান্তে ছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট। ঐ সময় তিনি কি ভাবছিলেন তা জানতে চান তামিম।
জবাবে পাইলট বলেন, ‘ঐসময় বাইরে থেকে অনেকে অনেক কিছু বলছিল, কিন্তু আমার মনে একটাই চিন্তা ছিল ম্যাচ জিততে হবে। ঐ সময় আমি আল্লাহর কাছে এই বলে দোয়া করছিলাম যে, আল্লাহ আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় কাউকে তুমি তুলে নাও, তবু আজকে আমাদের জিতিয়ে দাও।’
বিধাতা সেদিন নিরাশ করেননি পাইলটকে। ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে জয়কে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন পাইলট। শেষ বলে ব্যাটিং প্রান্তে থাকা অপর ব্যাটসম্যান শান্তর পায়ে বল লাগতেই পাইলটের ভোঁ দৌড়, সেই সাথে বাংলাদেশের আইসিসি ট্রফি জয় নিশ্চিত।
তবে পাইলটের এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে বিধাতা শুধু বাংলাদেশকে জিতিয়েছিল তা নয়, পাইলটকে দিয়েছিল এমন একজন মানুষের ভালবাসা যে তাকে দুই চোখে দেখতে পারত না। এ ব্যাপারে লাইভে উপস্থিত থাকা আকরাম খান জানান, ‘পাইলটের শশুর তাকে পছন্দ করত না, কিন্তু আইসিসি জিতে আসার পর তিনি পাইলটকে জড়িয়ে ধরে গলায় সোনার হার পরিয়ে দিয়েছিল।’ আকরামের এই কথায় সবার মুখে হাসি ফুটে উঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৫ এএম
নিউজক্রিকেট/এমএস