https://scontent.fdac4-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/36386236_2027432020601594_1928619179817041920_n.jpg?_nc_cat=104&_nc_eui2=AeFY40879vpUlXD3TvLuwunYiYPt9keMWugjnmsYPL9A2_cQ-azY1GmWWQy36LFNFzNLAU2kdDYB9vV9Qwdjt7cfxuFbw0DGkcoiJ24B4pOm6Q&_nc_ht=scontent.fdac4-1.fna&oh=926e9b4229d9f6e3ffd66fe5510e3767&oe=5D672D33 »
মানুষ তার স্বপ্ন পূরনের জন্য কত কিছুই না করে। তার বাস্তবিক আরেক প্রমাণ অস্ট্রেলিয়ান ক্ষুদে ক্রিকেট ভক্ত ম্যাক্স। ১২ বছর বয়সী এই ক্ষুদে ক্রিকেটপ্রেমী ইংল্যান্ডের মাঠে বসে নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার অ্যাশেজের ম্যাচ দেখতে চার বছর ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনে আসছে। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে প্রতিবেশীদের বাড়ির আবর্জনা পরিস্কার করে সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ জমিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের স্বপ্ন পূরন করতে ইংল্যান্ডের মাঠে অ্যাশেজ দেখতে এসেছে ক্ষুদে ম্যাক্স।
উল্লেখ্য, বছর চারেক আগের কথা তখন ম্যাক্সের বয়স ছিল মাত্র ৮। মাত্র ৮ বছর বয়সে মা-বাবার কাছে ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ দেখার আবদার জুড়ে দেয় সে। ম্যাক্সের পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল ছিল না বলে ছেলের ওই আবদার পূরন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি তখন। কিন্তু ম্যাক্স তার স্বপ্ন পূরনে ছিল দৃঢ প্রতিজ্ঞ। আর তাই আরো ৪ বছর আগে থেকে নিজের এই স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে টাকা জমানো শুরু করে ম্যাক্স। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সে তার প্রতিবেশীদের বাড়ির ময়লা পরিস্কার করে আসছে টাকার বিনিময়ে। আর ওইখান থেকে উপার্জিত অর্থ খুব যত্ন করে জমিয়ে রেখেছে নিজের স্বপ্নের অ্যাশেজ দেখতে।
অবশেষে ৪ বছর পর সে তার জমানো অর্থ দিয়ে ইংল্যান্ডে এসেছে নিজের স্বপ্নের অ্যাশেজ দেখতে তাও নিজের কঠোর পরিশ্রমের অর্থ দিয়ে। স্বপ্ন পূরনের অনুভূতির গল্প শুনাতে গিয়ে ক্ষুদে ম্যাক্স ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘আমার স্বপ্ন ছিল ইংল্যান্ডের মাঠে বসে অ্যাশেজ দেখবো। কিন্তু সামর্থ্য ছিল না বলে আমার পরিবার আমার ওই ইচ্ছাটা পূরন করতে পারেনি। তবে আমি আমার স্বপ্ন পূরনের একটা জিদ নিজের মধ্যে তৈরি করেছিলাম,তাই নিজে অর্থ জোগাড় করে একদিন স্বপ্ন পূরনের পণ করি। আমি আমার এই স্বপ্নের কথা চিঠিতে উল্লেখ করে আমার প্রতিবেশীদের চিঠি দিই এবং তাদের টাকার বিনিময়ে দৈনিক তাদের ময়লা পরিস্কার করার ইচ্ছের কথা জানাই। তারাও আমার ইচ্ছা এবং স্বপ্নকে সম্মান জানিয়ে আমার প্রস্তাবে রাজী হয়ে আমাকে কাজ করার সুযোগ দেয়। আমি চার বছর ধরে এইভাবে প্রতিবেশীদের ময়লা পরিস্কার করে সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ জমিয়ে রেখেছি আমার স্বপ্ন পূরনের জন্য।অবশেষে আমি সফল আর আমি অনেক খুশি।’
-মারুফ হোসেন ইফতি