সাজিদা জেসমিন »
অতিতের স্মৃতি রোমন্থন করতে গেলে চোখে ভাসে ২০১৫সালে ভারতের মাঠে ভারত-বাংলাদেশ ওয়ানডে ম্যাচে ভারত বধের সময়টা। মুস্তাফিজ দ্য কাটার মাস্টারকে সেদিন পুরো বিশ্ব চিনেছিলো। যে সিরিজে আলোড়ন জাগিয়ে বিশ্বমঞ্চে কাঁপুনি ধরায় মুস্তাফিজুর রহমান। সেদিন ছিলো মুস্তাফিজের ওয়ানডে অভিষেক। অভিষেকের মুস্তার দারুণ বোলিং তামিমের চোখে এই দশকে সেরা পারফরম্যান্স।
অভিষেকের দিনে ভারতের বিপক্ষে বল হাতে ৫০রান খরচায় নিয়েছিলেন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ভারত সেদিন ৭৯রানের ব্যবধানে ম্যাচ হারে। ম্যাচ সেরা হন মুস্তাফিজ। পরবর্তী ম্যাচে মুস্তাফিজ ছিলেন আরো আক্রমণাত্নক। গুরুত্বপূর্ণ ৬টি উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে সে ম্যাচেও বিপর্যয়ে ফেলেন। সে ম্যাচেও জয় পায় বাংলাদেশ। পর পর দু’ম্যাচেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে মুস্তাফিজের হাতে।
বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানের বুকে কাঁপুনি ধরিয়েছিলো সে ম্যাচ। ভারতীয়রাও সমীহ করা শুরু করেছিলো বাংলাদেশের বোলিং সাইডকে। তামিমের চোখে মুস্তাফিজের অভিষেক ম্যাচের স্মৃতিচারণা এ-ই দশকে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর। জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন –
‘আমি নেটে কখনো তাঁর (মুস্তাফিজ) মুখোমুখি হইনি। তাই তার সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারণা ছিলো না। যখন আমি তাকে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে বল করতে দেখেছি, তখন সেটি আমার জন্য চমকপ্রদ ছিল। এবং এটি শুধু আমার জন্যই না, গোটা ক্রিকেট বিশ্ব এক বাংলাদেশি ফেনোমেনোনের বার্তা পেয়েছিলো। সে বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে বল করতে নেমেছিলো।
প্রথম দিকে খুব একটা ভালো না হলেও পরের বার সে আক্রমণাত্নক হয়ে উঠে। দুর্দান্ত সব কাটার দিয়ে একে একে ভারতের টপ অর্ডারকে ফেরাতে লাগলো। আমরা যারা কখনো ওর বোলিং দেখিনি সবাই উচ্ছ্বসিত ছিলাম। এই ম্যাচ ক্রিকেট বিশ্বে তাকে গৌরবান্বিত করার পাশাপাশি আমাদের দিয়েছিলো জয়। পরবর্তী ম্যাচে তার আরো বিধ্বংসী রূপ দেখেছিলো বিশ্ব। যা ক্রিকেট বিশ্বে তাকে নতুনরূপে চিনিয়েছিলো। তবে আমার কাছে প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতাই এই দশকে সেরা পারফরম্যান্স। ‘