নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
গত কিছুদিন হলো নতুন এক গুঞ্জন শুরু হয়েছে অধিনায়কত্ব নিয়ে তবে সেটা আরও একটু জোরালো হয় আফগানিস্তানের সাথে টেস্ট সিরিজ শেষে সাকিব একটু অনীহা দেখালে।
সাকিব নিজেও চান তরুণরা কেউ এগিয়ে আসুক অধিনায়কত্বে। আফগানিস্তান সিরিজ শেষে সাকিব বলেন, “অধিনায়কত্ব যদি না করতে হয় তাহলে সব থেকে ভালো হবে আমার জন্য। আর নেতৃত্ব যদি দিতেই হয় তাহলে অবশ্যই অনেক কিছু নিয়ে আলোচনার ব্যাপার আছে”।
সাকিবের এমন কথার পর সবাই ভাবতে শুরু করছে সাকিব যদি অধিনায়কত্ব নিয়ে স্বস্তিতে না থাকে তাহলে নতুন কাউকে দেখা উচিত।
সাকিব বাদে দলে আছেন চার সিনিয়র যেখানো মাশরাফীর সম্ভাবনা খুবই নগণ্য কারন তাঁর ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার পথে। তাঁরপর রয়েছে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবাল যেখানে মুশফিকুর রহিম সাফ জানিয়েছেন তিনি আর কখনো অধিনায়ক হতে চান না, তামিম নেই নিজের সেরা ফর্মে সেই সাথে শ্রীলঙ্কা সফরের পর তাঁর অধিনায়কত্ব পাওয়ার সম্ভাবনাটা খুবই ক্ষীণ আর রিয়াদ নেই তাঁঁর সেরা অবস্থানে।
সাকিবের কথার জের ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ” অধিনায়কত্ব করার মত তিন চারজনই আছে। সাকিব, রিয়াদ, মুশফিক। মাশরাফি একটা সংস্করণে আছে , আর বাকী তামিম। এরা যদি করতে না চায় তাহলে তরুণ কাউকেই ডাকতে হবে। এরা যদি ২২ বছর বয়সে অধিনায়কত্ব করতে পারে, দলে এখন আরও অনেকেই আছে ২২ বছর বয়সে অধিনায়কত্ব করার মত। আমরা সেটা দেখিনা কারণ আমরা এক জায়গাতেই পড়ে আছি”।
কথা যখন উঠেছে তরুণদের নিয়ে তখন সে দৌড়ে সবার উপরে আছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে আবাহনী লিমিটেডকে চ্যাম্পিয়ান করেছেন অধিনায়ক হিসেবে এছাড়াও অভিজ্ঞতা আছে বিভিন্ন সময়ে বিসিবি একাদশকে নেতৃত্ব দেয়ার । অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব পেলে খুব একটা বেশি আপত্তি নেই মোসাদ্দেকের। আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ” আসলে আমি এ ব্যাপারে ( অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারে) জানি না কিছুই। যখন এ রকম কথা হবে অবশ্যই আমার সঙ্গে কথা বলবেন আর সেটা আলোচনা সাপেক্ষে হয়ত আমি “।
Chat Conversation End
Type a message…