অধিনায়কের দায়িত্ব নিতে আমি প্রস্তুত : মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ

নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »

সাকিব আল হাসান আফগানিস্তানের সাথে টেস্ট সিরিজের পর প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে না থাকলে আমার জন্য ভালো হয়। আর তরুন কেউ দায়িত্বে আসুক তাহলে ভালো হয়। তার এমন বক্তব্যের পরই ভাবতে শুরু করেছে ক্রিকেট প্রেমীরা। কে হচ্ছেন বাংলাদেশের পরবর্তী অধিনায়ক কিংবা সাকিব কি আসলেই অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন? অধিনায়কত্ব নিয়ে এমন অহরোহ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলার ক্রিকেট জনতা থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মাথায়। কিন্তু বোর্ড কি ভাবছে তা বুঝে উঠা খুবই কঠিন ব্যাপার।

সাকিবের অধিনায়ক ছাড়ার গুঞ্জন নিয়ে আছে মানুষের মাঝে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন আমরা তাঁর অধিনায়কত্বের থেকে তাঁর খেলোয়াড়ী পারফরম্যান্সটা বেশি পেতে চাই আবার কেউ ভাবছেন দলের সেরা খেলোয়াড় অধিনায়ক হিসেবে থাকাটা দলের জন্য ভালো তাহলে ক্যাপ্টেন সামনে থেকে সবকিছু নেতৃত্ব দিতে পারবেন। তবে বোর্ড কি ভাবছে সেটাই মুখ্য বিষয়। যদি সাকিব অধিনায়কত্ব ছাড়ে তাহলে কার উপরে গিয়ে পড়বে এই গুরু দায়িত্ব। তরুণদের কেউ আসবে নাকি সিনিয়র কেউ আসবে অধিনায়কত্বে।

সিনিয়রদের মাঝে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পড়লে আঙ্গুল উঠছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উপর। কারন সাকিব রিয়াদ ব্যতীত দলের বাকি যে তিনজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন তাদের মাঝে মুশফিকুর রহিম কখনো অধিনায়কত্ব করতে চান না বলে স্রেফ জানিয়ে দিয়েছেন, তামিম বিশ্বকাপ থেকে নিজের পারফর্ম নিয়ে ভুগতেছেন সাথে শ্রীলঙ্কা সফরেও ব্যাটেও বাজে সময় পার করেছেন সাথে অধিনায়ক হিসেবেও আর দলের সবথেকে সিনিয়র ক্রিকেটার মাশরাফী হয়তো খুব বেশিদিন খেলবেন না তাই তার আসারও প্রশ্ন আসে না। তাই সিনিয়রদের দিকে তাকালে আঙ্গুলটা রিয়াদের দিকেই পড়ে।

আঙ্গুল রিয়াদের দিকে উঠলেও রিয়াদ কি ভাবছেন অধিনায়কত্ব নিয়ে এটা জানার বিষয়। গতকাল প্রেস কনফারেন্সে বলেন, ‘অধিনায়কত্ব নিতে আমার কোন আপত্তি নেই যদি সেটা বোর্ড আমার উপর ছেড়ে দেয়। অধিনায়কত্ব চ্যালেঞ্জের কিছু না এটা একটা বড় দায়িত্ব। তবে এই দায়িত্ব আমার উপর আসলে আমি অবশ্যই নিবো’।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »