শোয়েব আক্তার »
শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও অভিষেক দাসের বোলিং তোপে পড়ে ১৩তম অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ১৭৭ রানে গুটিয়ে গেছে ভারত অনুর্ধ্ব-১৯ দল। অভিষেক দাস ৩টি, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব ২ টি এবং রকিবুল হাসান ১ টি করে উইকেট লাভ করেন।
ভারতের পক্ষে উদ্ভোধনী ব্যাটসম্যান জস্বমি জেসওয়াল সর্বোচ্চ ৮৮(১২১) রান করেন। ১ ছয় ও ৮ চারের সাহায্যে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮(৬৫) রান আসে তিলক বার্মা’র ব্যাট থেকে।
পচেফেস্ট্রুমে গত রাতের বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে টস জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি। পিচের আদ্রতা কে কাজে লাগাতে অধিনায়ক বল তুলে দেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবের হাতে। দুজনেই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে শুরু করেন।প্রথম দুই ওভারে কোন রান নিতে পারে নি ভারত। ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি আসে অষ্টম ওভারে।
দলীয় ৯ ও ব্যক্তিগত ২ রানে উদ্ভোধনী ব্যাটসম্যান সাক্সেনাকে মাহমুদুল হাসান জয়ের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন একাদশে আজ নতুন যুক্ত হওয়া পেসার অভিষেক দাস। ইনিংসের সপ্তম ও ব্যক্তিগত প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন তিনি।
৯৪ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন জেসওয়াল ও তিলক বার্মা। ২৯তম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে তিলক বার্মা কে শরিফুল ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। তিন ওভার পর ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়াম গার্গ কে ৭ রানে আউট করেন ম্পিনার রকিবুল হাসান।
ভয়ঙ্কর রুপ নিতে যাওয়া জস্বসি জেসওয়াল কে ইনিংসের ৪০তম ওভারের পঞ্চম বলে তানজিদ হাসানের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়ে শতক বঞ্চিত করেন শরিফুল ইসলাম। ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছিলেন তিনি। তবে, কাঙ্খিত উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান কে আউট করার পরের বলে সিদ্ধাস ভির কে ও আউট করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত দুটি রান আউট ও তানজিম হাসান সাকিব আরও একটি উইকেট তুলে নিলে ৪৭.২ বলে ১৭৭ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত। ১৭৮ রানের লক্ষ্যে কিছুক্ষনের মধ্যে ব্যাট করতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল।