সুপার ওভারের ফাইনালে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জিতলো ইংল্যান্ড

https://scontent.fdac4-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/36386236_2027432020601594_1928619179817041920_n.jpg?_nc_cat=104&_nc_eui2=AeFY40879vpUlXD3TvLuwunYiYPt9keMWugjnmsYPL9A2_cQ-azY1GmWWQy36LFNFzNLAU2kdDYB9vV9Qwdjt7cfxuFbw0DGkcoiJ24B4pOm6Q&_nc_ht=scontent.fdac4-1.fna&oh=926e9b4229d9f6e3ffd66fe5510e3767&oe=5D672D33 »

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ আসরের ফাইনালে সুপার ওভারের ম্যাচে বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড।

সুপার ওভারের প্রথম বলে ৩ রান নেন বেন স্টোকস। দ্বিতীয় বলে ১, তৃতীয় বলে ৪, চতুর্থ বলে ১, পঞ্চম বলে ২ এবং শেষ বলে চার মারলে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫ রান।

১৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন মার্টিন গাপটিল এবং জেমি নিশাম। বল হাতে প্রথম বল ওয়াইড দেন জোফরা আর্চার। ফলে প্রথম বলে ১, দ্বিতীয় বলে জেমি নিশাম মেরে দেন ওভার বাইন্ডারি। তৃতীয় বলে ২ রান, চতুর্থ বলে ২ রান, পঞ্চম বলে ১ রান নিলে শেষ বলে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার হয় ২ রান। আবারও টাই হয় ম্যাচটি।

ফলে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ইনিংসে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় ইংল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৪২ রানের লক্ষে খেলতে নেমে শুরুতেই কিউই বোলারদের তোপে পড়ে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ২৮ রানে ওপেনার জেসন রয়কে হারায় ইংল্যান্ড। ২০ বলের মোকাবেলায় ১৭ রান আসে রয়ের ব্যাট থেকে। কিছুটা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন বেয়ারস্টো এবং জো রুট। কিন্তু বেশি সময় স্থায়ী হয়নি এই জুটি। ৩০ বলের মোকাবেলায় মাত্র ৭ রান করে বিদায় নেন রুট। দলীয় মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে জীবন পাওয়া বেয়ারস্টো প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ব্যক্তিগত ৩৬ রানে। এদিন সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক ইয়ন মরগানও। মাত্র ৯ রান করে দলীয় ৮৬ রানে জেমি নিশামের বলে আউট হন মরগান। এই বিপর্যয় সামলে বাকি গল্পটা কেবল নিজেদের করে নিতে চান বেন স্টোকস এবং জস বাটলার। দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে ১১০ রানের জুটি গড়ার পর ব্যক্তিগত ৫৯ রানে বাটলারকে লকি ফার্গুসেন প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালে আবারও উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচে। সেই উত্তেজনায় ঘি ঢেলে ৩ বল মোকাবেলা করা ক্রিস ওকসকেও সাজঘরে ফেরত পাঠান ফার্গুসেন। ১০ বলে যখন ইনল্যান্ডের দরকার ২২ রান তখন ব্যক্তিগত ১০ রানে আবারও ফিরে যান লিয়াম পাঙ্কেট। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে কোনো রান করে আর্চার আউট হলে শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন হয় ১৫ রান। একপ্রান্ত আগলে রেখে পুরো ইনিংসে ব্যাট করা বেন স্টোকস ওভারের তৃতীয় বলে ওভার বাউন্ডারি হাঁকালে পরের ম্যাচে রান আউট করতে গিয়ে ওভার থ্রুতে ৪ রান এবং দৌড়ে ২ রান নিলে শেষ ২ বলে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ইংলিশদের। শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন হলে ১ রান নিতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। স্টোকস অপরাজিত থাকেন ৮৪ রান করে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নামলে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ক্রিস ওকসের করা বলে এলবিডব্লিউই এর আবেদন করে ইংল্যান্ড। তবে শুরুতেই রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান নিকোলাস। তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারে আবারও ওকসের বলে এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পড়েন মার্টিন গাপটিল। ১৯ বলে ব্যক্তিগত ১৯ রানে বিদায় নেন এই ওপেনার। তবে ধীর গতিতে এগিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ওপেনার নিকোলাস। দুজন মিলে গড়েন ৭৪ রানের জুটি। লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে উইলিয়ামসন কট বিহাইন্ড হয়ে  ফিরে যাবার আগে ব্যক্তিগত রানের খাতায় যোগ করেন ৫৩ বলে ৩০ রান। উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন ওপেনার নিকলস। নিকলসের ব্যাট থেকে আসে ৭৭ বলে ৫৫ রান। আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে খানিক পর বিদায় নেন অভিজ্ঞ রস টেলরও। তবে ইংলিশ বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন জেমি নিশাম। সেটাও অবশ্য স্থায়ী হয়েছে কেবল ১৯ রান পর্যন্ত। তবে সবার থেকে আলাদা ছিলেন টম লাথাম। সবাই যখন নিচু গতির স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছিলেন তখন ৫৬ বলে ৪৭ রান করেন লাথাম। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে কিউইদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪১ রান।

বল হাতে এদিন দুর্দান্ত ছিলেন ইংলিশ বোলাররা। কিউই ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে রেখে স্বল্প ব্যয় করেন তারা। ক্রিস ওকস ৩৭ রানে ৩টি, প্লাঙ্কেট ৪২ রানে ৩টি, এছাড়া আর্চার ও মার্ক উড নেন ১টি করে উইকেট।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »