https://scontent.fdac4-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/36386236_2027432020601594_1928619179817041920_n.jpg?_nc_cat=104&_nc_eui2=AeFY40879vpUlXD3TvLuwunYiYPt9keMWugjnmsYPL9A2_cQ-azY1GmWWQy36LFNFzNLAU2kdDYB9vV9Qwdjt7cfxuFbw0DGkcoiJ24B4pOm6Q&_nc_ht=scontent.fdac4-1.fna&oh=926e9b4229d9f6e3ffd66fe5510e3767&oe=5D672D33 »
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ৩১তম ম্যাচে সাউদাম্পটনে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে আফগানিস্তান। টাইগারদের দেয়া ২৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সাকিব ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়ে আফগানরা হেরেছে ৬২ রানে।
আফগানদের হয়ে এদিন ইনিংস উদ্বোধন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান রহমত শাহ ও অধিনায়ক গুলবদিন নাইব। আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৪৯ রানে ব্যক্তিগত ২৪ রানে সাকিবের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রহমত। তিনে নামা হাসমতউল্লাহ শাহিদি থিতু হতে পারেননি ক্রিজে। মোসাদ্দেকের বলে মাত্র ১১ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন শাহিদি। তবে এরপর ম্যাচকে একাই টেনে নিতে থাকেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। সপ্তম উইকেট জুটিতে নজিবউল্লাহ জাদরানকে নিয়ে গড়ে বসেন ৫৬ রানের জুটি। ২৩ বলে ২৩ রান করা নজিবউল্লাহ জাদরানকে ফিরিয়ে দিয়ে এই জুটি বিচ্ছিন করে দেন সাকিব। একপ্রান্ত থেকে শেনওয়ারি ইনিংস বাঁচাতে চাইলেও সেটা আর সম্ভব হয়নি তার একার পক্ষে। শেষ পর্যন্ত ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন শেনওয়ারি। তাকে রেখেই অপরপ্রান্তে থাকা বাকি ব্যাটসম্যানরা ফিরে যান একের পর এক। ইনিংসের ১৮ বল বাকি থাকতেই সব কয়টি উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান করে ২০০ রান।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সাকিব ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ২৯ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। এছাড়া মুস্তাফিজ ২টি, সাইফউদ্দিন ১টি ও মোসাদ্দেক নেন ১টি করে উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা টাইগারদের এদিন ইনিংস উদ্বোধন করতে দেখা যায় তামিম ইকবালের সাথে লিটন দাসকে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মুজিবের বলে থার্ড আম্পায়ার আলিম দারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে ফিরে যান লিটন দাস। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৭ বলে ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল ৫৩ বলের মোকাবেলায় ৩৬ রান করে নবীর বলে বোল্ড হয়ে পথ ধরেন সাজঘরের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব-মুশফিক মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫৯ রান। এই জুটি ভাঙে ৫৯ বলে ৫১ রান করে সাকিব ফিরে গেলে। অপরপ্রান্তে থাকা উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম ব্যাট চালাতে থাকেন দেখেশুনে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ইনজুরি নিয়েই স্বল্প সময় সঙ্গ দিলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৭ বলে ৮১ রান করে দৌলত জাদরানের বলে সাজঘরে যান মুশফিক। শেষের দিকে ফিনিশিংয়ের কাজটা করেন একাদশে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ইনিংসের শেষ বলে আউট হবার আগে ২৪ বলে খেলেন ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস।
বল হাতে আফগানিস্তানের হয়ে মুজিব ৩টি, নাইব ২টি, দৌলত জাদরান ১টি ও নব নেন ১টি উইকেট।