নিউজ ডেস্ক »
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তারকা খেলোয়াড় হচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশকে তিনি নিয়ে গিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। যেহেতু তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন সেরা খেলোয়াড় আর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা এক ধাক্কা খেয়েছিলো ২৯শে অক্টোবর। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়কে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। তবে সাকিবের অপরাধ করেনি তবে আইসিসির দৃষ্টিতে এটি অপরাধ হিসেবে গণ্য। জুয়াড়িরর দেয়া প্রস্তাব সাকিব গ্রহণ করে নি এবং আইসিসিকেও জানায়নি। যার ফলে আইসিসি তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট থেকে।
সাকিব যার জন্য আজ এক বছরের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন সেই জুয়ারি দীপক আগারওয়ালকে এবার নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। দীপক আগারওয়ালকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে আইসিসি থেকে। এই দুই বছর এই পেশাদার জুয়াড়ি দীপক আগারওয়াল ক্রিকেটীয় কোনো কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত কিংবা উপস্থিত হতে পারবেন না।
বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে যে, ” দীপক আগারওয়ালকে দুই বছরের জন্য সকল প্রকার ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যার ছয় মাস ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। “
আইসিসির যে অ্যান্টি করাপশন কোড রয়েছে সেটি ভঙ্গের অভিযোগে তাকে এই শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। এই দীপক আগারওয়াল ২০১৮ সালের টি-টেন ফরম্যাটের ক্রিকেটে সিন্ধির ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। এখানেই তার বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আসে। সেই সূত্র ধরেই তার বিরুদ্ধে আইসিসিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তোলা হয়েছে।
দীপক আগারওয়ালকে অনেকেই হয়তো চেনে অনেকেই হয়তো চেনেন না। তিনি একজন পেশাদার ও স্বীকৃত জুয়াড়ি। এই ভারতীয় বাজিকর ক্রিকেটের আঙ্গিনায় দীর্ঘদিন ধরেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন সময় তাকে সংগঠকের ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে। তিনি আইসিসির কালো তালিকাভুক্ত জুয়াড়ি হিসেবে ছিলেন। ২০১৭ সালে একবার অভিযুক্ত হলেও বেঁচে গিয়েছিলেন এরপরও বারবার ধরাছোয়ার বাইরে থাকেন এই জুয়াড়ি। কেননা জুয়াকে এখনো ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে গণ্য না করার কারণে বেঁচে গিয়েছেন বারবার। তবে ক্রিকেট অঙ্গনে দীপক আগারওয়ালের অপরাধ একজন অপরাধীর সমতুল্য। কেননা তার জন্য ২০১১ সালে ভারতে বিজয় কুমার নামে এক ক্রিকেটার আত্মহত্যা করেন।
এই দীপক আগারওয়াল অনেকবার চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে। তিনবার ফিক্সিংয়ের লোভনীয় প্রস্তাব সাকিবকে পেশ করলেও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মন গলাতে পারেনি এই পেশাদার জুয়াড়ি দীপক আগারওয়াল। আকসুর কর্মকর্তারা দীপকের ফোন ট্র্যাক করেই সাকিবকে ধরেন। আর যার জন্য সাকিব আজ নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন। সাকিবের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা ও এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। এক বছরের নিষেধাজ্ঞার ইতিমধ্যেই ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। আর ছয় মাস পর সাকিবকে আবার ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে।
দীপক আগারওয়ালের এই দুই বছরের শাস্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালের ২৭শে অক্টোবর।
বাংলাদেশ সময়: ৮.৪৫ পিএম
নিউজ ক্রিকেট/ জিএনএইচ
