সাকিব শাওন »
বাংলাদেশের দেয়া ৩২৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানে সফরকারীদের ওপেনার চাকাবা ২ রান করে বিদায় নেয়। এরপর দ্রতু টেলর,উইলিয়ামস বিদায় নিলে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে।এরপর কামুনহুকামুয়ে ফিফটি তুলে ৫১ রান করে তাইজুলের বলে বিদায় নেয়।মিডলে ব্যাটে এসে সিকান্দার রাজা এবং মাডিভারে দুজনেই ফিফটি তুলে বিদায় নেন। দল তখনই ভেঙ্গে পড়ে,কিন্তু শেষ দিকে মুটোমবামি ও টিরিপানোর দ্রতু ৮০ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হলেও চেষ্টার কোন কমতি ছিলো না। শেষ বল অবধি পর্যন্ত লড়াই করেও ম্যাচ জেতাতে পারেনি তিরিপানো।
জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে হারিয়ে ৩১৮ রান করে।
বাংলাদেশ জয়লাভ করে ৪ রানে।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন সিকান্দার রাজা, কামুনহুকাময়ে করেন ৫১ রান। এছাড়া মাডিভারে ৫২ রান ও টিরিপানোর ব্যাট থেকে আসে ৫৫* রান।
বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। এছাড়া মাশরাফি,শফিউল,মিরাজ, আল-আমিন নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে দিনের শুরুতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ব্যাটিং আসেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। স্লো ব্যাটিং শুরুর পরও ৯ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন লিটন। সে বিদায় নিলেও আরেক ওপেনার তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি। ব্যাক্তিগত সর্বোচ্ছ ১৫৮ রান করে ফিরে যান এই ওপেনার। শান্ত রান আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে করেন ৬ রান ।এরপর মুশফিক আসেন ক্রিজে তিনি ফিফটি তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩৮তম। ৫০ বলে ৫৫ রান করে আউট হয়ে ফিরে গেছেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর রিয়াদ দ্রুত রান করার চেষ্টা করেন ফিফটি করতে পারেন নাই তবে করেছেন ৪১ রানের কার্যকারী এক ইনিংস। শেষে মিথুনের ব্যাটের ওপর ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে যায় টিম বাংলাদেশ। এছাড়া মিরাজ, শফিউল উভয়ই করেন ৫ রান করে। মিথুনের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ৩২* রানে।
শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৩২২ রান।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্ছ ২ উইকেট নেন তিরিপানো এবং মুম্বা।
থুসুমা এবং মাদাভারী ১ টি করে উইকেট শিকার করেন।