নিউজ ডেস্ক »
করোনাভাইরাস দেশে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। যে যেভাবে পারছে এগিয়ে আসছেন করোনা মোকাবেলায়। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত ভাবে অনেক সাহায্য করছে। থেমে নেই সাবেক ক্রিকেটাররাও। এইবার নিজ জেলা রাজশাহীর ক্রীড়াবিদদের পাশে এসে দাঁড়াতে সাহায্যেরর হাত বাড়িয়ে দিলেন দেশের সাবেক উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনি একা নন, তার সাথে আছেন এমসিসি (মাস্টার ক্রিকেট কার্নিভাল) রাজশাহীর ২৪৯ জন লোক। কিন্তু এই উদ্যোগটি পাইলট নিজেই নিয়েছেন।
তিনি শুরুতে সাহায্য করেছিলেন কিছু ক্রিকেটারদের। এর পর তারা আরো খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন এলাকায় অনেক হকি খেলোয়াড়, ফুটবলার আর্থিক সংকটে আছেন। পরে তাদের জন্যও ব্যবস্থা করা হয়। বাদ যায়নি গ্রাউন্ডসম্যানরাও, তারাও সাহায্য পেয়েছেন এমসিসি রাজশাহী থেকে।
তবে পুরো ব্যাপারটা করা হয়েছে একটু আলাদাভাবে। যাদের এই সাহায্য প্রয়োজন তাদের ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। তাদের বলার হয় আপনার জন্য একটি রমজানের উপহার দেয়া আছে আপনি এসে এটা নিয়ে যান। তারা সাথে জায়গার নাম উল্লেখ করে দেওয়া হয়। এই ব্যাপারটির করার কারণ যাতে এই ক্রীড়াবিদরা লজ্জায় পড়ে না যায়। তাদের একটি লোক পরিচিতি আছে এলাকায়। আর লাইন ধরে জিনিস গুলো দেয়া খুবই আপত্তিকর দেখায়।
তাদের দেয়া উপহার ব্যাগে ছিলো চাল, তেল, ডাল, আটাসহ অন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। তাদের জেলার প্রায় ২০০ ক্রীড়াবিদ ও মাঠকর্মীরা ইতিমধ্যে পেয়েছেন এই উপহারের ব্যাগ। সামনে আরো অনেকেই পাবেন৷
এই ব্যাপারে খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘আমিই এমিসির হয়ে উদ্যোগটি নিয়েছি। এখানে যারা আছেন সবাই সাহায্য করতে পারবেননা। যারা পারবে তাদের নিয়ে আমরা সাহায্য করছি আর্থিক ভাবে সংকটে থাকা খেলোয়াড় ও গ্রাউন্ডসম্যানদের। তাদের এসএমএসের মাধ্যমে জানানোর কারণটি হল তারা যেন লোক লজ্জায় পড়ে না যায়। তাদের একটি ইমেজ আছে। অনেক লোকেই তাদের চিনে। আমরা বাজারের ব্যাগে করে চাল, ডাল, আটা ইত্যাদি সামগ্রী দিচ্ছি যাতে তারা কিছুদিন খেতে পারে।’
‘তবে শুধু খেলোয়াড়দের মাঝে থাকতে চাইছিনা। আমাদের ইচ্ছা আছে জেলার আরো ৫’শ দরিদ্র লোকদের এই উপহারের ব্যাগ দিবো। আমরা আশা করছি যাদের সামর্থ্য আছে তারা সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেন’ – সাথে যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১১.১৪ পিএম
নিউজক্রিকেট/আরআর
