নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
গতকাল আব্দুর রাজ্জাকের স্পিন বিষে ধরাশায়ী হয় রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। রাজ্জাকের ৭ উইকেট নেয়া ইনিংসে রংপুর অলআউট হয় মাত্র ২২৪ রানে রংপুরের করা ২২৪ রানের বিপরীতে খুলনা ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংস গতকালই হারিয়ে বসে দুই ব্যাটসম্যানকে। গতকালের ২৪ রানে ২ হারানো অবস্থান থেকে আজ ইনিংস শুরু করে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আনামুল হক বিজয় ও তুষার ইমরান। সকাল থেকে রংপুরের বোলারদের আগুনঝরা বোলিংয়ে দিশেহারা খুলনার ব্যাটসম্যানরা।
১৪ রানে অপরাজিত থাকা আনামুল ফিরে গেছেন ২১ রান করে আর ১ রানে অপরাজিত থাকা তুষার ইমরান ফিরে গেছেন ১০ করে। বিজয়ের তুষারের বিদায়ের পর রংপুরের বোলারদের বোলিং তোপে তাসের ঘরের মতো ধসে পড়তেছিলো উইকেট। ব্যাটসম্যানরা ছিলো সব আসা যাওয়ার মিছিলের পথিক। মাত্র ৮০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে শঙ্কা যখন ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার তখনই যেন চীনের প্রাচীরের মত প্রাচীর গড়ে তুললেন স্পিনার মেহেদী হাসান ও পেসার রুবেল হোসেন।
রুবেল হোসেনকে সাথে নিয়ে ১৭ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চে যায় মেহেদী হাসান। লাঞ্চ থেকে ফিরেই খেলা শুরু করলেন ওয়ানডে মেজাজে। মেহেদী হাসান ও রুবেল হোসেনের ৯ম উইকেট জুটিতে আসে ১৩৩ রান। রানের দিক থেকে মেহেদী হাসানের থেকে পিছিয়ে থাকলেও মেহেদী হাসানকে বেশ ভালো ভাবেই সঙ্গ দিয়েছেন তিনি। ৬৪ বলে পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ফিফটির পর শতক তুলতে ভুল করেননি মেহেদী। তবে সেঞ্চুরির পর চা বিরতি থেকে ফিরে দীর্ঘ করতে পারেননি তার এই রাজকীয় ইনিংস। ১৫০ বলে ১৫ চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে ১১৯ রান করে মুকিদুলের বলে ফিরেন মেহেদী হাসান। যা কিনা মেহেদী হাসানের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের ৫ম সেঞ্চুরি।
মেহেদী যখন ২১৩ রানে সাজ ঘরে তখনও রংপুরের থেকে ১১ রানে পিছিয়ে খুলনা তবে লিড নেয়ার কাজটা বেশ ভালো ভাবেই সারেন রুবেল হোসেন। শেষ ব্যাটসম্যান আব্দুল হালিমকে সাথে নিয়ে ২০ রান যোগ করে আর তাতেই কি না ৯ রানের লিড পায় খুলনা। আব্দুল হালিম দলীয় ২৩৩ রানে আউট হলেও ১০৯ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রুবেল হোসেন।
রুংপুরের হয়ে ৫ উইকেট নেন তরুন রবিউল ইসলাম যা কি না রবিউলের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মত ৫ উইকেট। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নেন সাজেদুল ও মুকিদুল আর একটি উইকেট নেন আরিফুল হক।