নিউজ ডেস্ক »
তৃতীয় দফায় অধিনায়ক হওয়া মাশরাফি প্রায় হারিয়ে যেতে বসা দলটার হাল ধরেছিলেন। টানা হারে জর্জরিত হওয়া একটি ক্রিকেট দলকে জেতার অভ্যাস করতে শিখিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের বদলে যাবার যে গল্প সেই গল্পের শুরু হয় এখান থেকেই। খাদের কিনারায় থাকা একটা দলকে টেনে নিয়ে দাড় করিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। তাঁর অধীনেই দলটা পরিণত হয়েছে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মধ্য দিয়েই এই ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক ইতি টেনেছেন তাঁর অধিনায়কত্বের ক্যারিয়ারে। তবে পদ ছাড়লেও তাঁর সতীর্থরা বারবার করছেন তাঁর অধিনায়কত্বের প্রশংসা।
ওয়ানডে বলের বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবাল মনে করেন মাশরাফি একজনই। অধিনায়ক হিসেবে ঠিক যেমন হওয়া উচিৎ, ম্যাশ তেমনই। তামিমের মতে, ‘তিনি যেভাবে দলের সব খেলোয়াড়ের সাথে আচরণ করেন সেটা খুব একটা দেখা যায় না অন্য দলগুলোতে। আমরা পৃথিবীর অন্য কোন দলে এমনটা খুঁজলে পাব না। আমাদের দেশের যে প্রেক্ষাপট আমরা দলের অধিনায়ক হিসেবে এমন একজনকে সবসময়ই চাই যে সতীর্থের খারাপ সময়ও তাঁর দেখাশোনা করবে। আর মাশরাফি ঠিক তেমনই একজন অধিনায়ক।’
সম্প্রতি ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল এ কথা বলেন।
মাশরাফির অধিনায়কত্বের গুণাগণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে নতুন অধিনায়ক জানান, ‘আমি মনে করি ম্যাশের সবচেয়ে বড় গুণ হল সে সবসময় বিশ্বাস করে আমরা জিততে পারি। আমরা সবসময় জিততে পারি এমনটা বলে সে। যখন ম্যাশ বলেছিল সেই ২০১৫ সালে আমরা ভারতকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে দিতে সামর্থ্য, সেটা শুরুতে একদমই অসম্ভব লেগেছিল। ভারত তখন র্যাংকিংয়ে এক নম্বর দল ছিল। কিন্তু তাঁর এমন কথা পুরো দলের ভেতর সুনিশ্চিতভাবে ছড়িয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে আমরাও বিশ্বাস করতে শুরু করলাম আমরা জিততে পারবো।’
দলে ম্যাশের উপস্থিতি পুরো দলকে আলাদা একটা শক্তি এনে দেয় বলে মনে করেন তামিম। তামিম বলেন, ‘আমি ম্যাশ ভাইয়ের সাথে একসাথে অনেক ম্যাচ খেলেছি। ২০১৮ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি বাংলাদেশ দলের জন্য বিশেষ কিছু হয়ে উঠেছিলেন। টেস্ট সিরিজে আমরা খুব খারাপ করেছিলাম। আমরা সবাই কল্পনা করছিলাম মাশরাফি ওয়ানডে দলে এসে পুরো দলের মনোভাবই পাল্টে দিবে। হলোও ঠিক তাই। মাশরাফিকে দেখলে দলের ভেতর কি যেন হয়ে যায়।’