ভারত – পাকিস্তান ম্যাচের থেকে ভারত – বাংলাদেশ ম্যাচে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বলে মনে করেন সাকিব

নিউজ ডেস্ক »

ক্রিকেট মাঠ, কিংবা মাঠের বাইরে যেকোন জায়গাতেই ভারত পাকিস্তান চির প্রতিদ্বন্দ্বী। ক্লাব ফুটবলে যেমন বার্সা – রিয়ালের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে থাকে ফুটবল বিশ্ব, যেমন আর্জেন্টিনা – ব্রাজিল চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ বলে পরিচিত ঠিক তেমনি ভারত পাকিস্তানকে ক্রিকেট মাঠের চির প্রতিদ্বন্দ্বী বলা হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে জৌলুস হারাচ্ছে ভারত পাকিস্তানের মাঠের লড়াই। সাকিব আল হাসান মনে করেন এখন ভারত পাকিস্তানের লড়াইয়ের থেকে ভারত বাংলাদেশ ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বেশি।

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরার আগে সাকিবকে সংবর্ধনা দিয়েছেন নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সেখানে উপস্থিত এক সমর্থক সাকিবকে প্রশ্ন করেন ক্রিকেটে বাংলাদেশের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। এ সময় সাকিব জানান, বাংলাদেশের চিহ্নিত কোনো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত ও বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার খেলা মাঠ ও মাঠের বাইরে অনেক উত্তেজনা ছড়ায় ।একইসাথে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের চেয়ে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি হয় বলেও মনে করেন এই অলরাউন্ডার।

সাকিব বলেন, ‘ভারত বা শ্রীলঙ্কার সাথে আমাদের খেলায় গত ২-৩ বছরে অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি হয়েছে, যেটা ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের থেকেও বেশি। কাউকে রাইভাল ভাবি বা নির্দিষ্ট কোনো দলকে হারানোর জন্য কিছু বাড়তি চেষ্টা করি- এমন মনোভাব হয়ত আমাদের খেলোয়াড়দের এখনো তৈরি হয়নি। প্রতিটা দলের সাথেই আমরা একই চেষ্টা করি, একই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামি। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি, দেশের মানুষকে যেন খুশি করতে পারি সেই লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামি।’

দীর্ঘ এক বছর নিষেধাজ্ঞায় থাকার পরে আগামীকাল থেকে মাঠে নামার অনুমতি মিলতে যাচ্ছে সাকিবের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে মাস খানেক অপেক্ষা করতে হলেও নভেম্বরেই মাঠে দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে। বিসিবির আয়োজনে বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপ দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে ফিরবেন এই সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। টুর্নামেন্টটি নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মাঠে গড়ানোর কথা , নিজেকে প্রস্তুত করতে সাকিব নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ফিরবেন দেশে। সাকিব এখন যুক্তরাষ্ট্রে তার পরিবারের সাথে অবস্থান করছেন।

নিউজ ক্রিকেট/ সুফিয়ান।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »