https://scontent.fdac4-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/36386236_2027432020601594_1928619179817041920_n.jpg?_nc_cat=104&_nc_eui2=AeFY40879vpUlXD3TvLuwunYiYPt9keMWugjnmsYPL9A2_cQ-azY1GmWWQy36LFNFzNLAU2kdDYB9vV9Qwdjt7cfxuFbw0DGkcoiJ24B4pOm6Q&_nc_ht=scontent.fdac4-1.fna&oh=926e9b4229d9f6e3ffd66fe5510e3767&oe=5D672D33 »
বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত যে তিনটি ম্যাচ জিতেছে সব কয়টিতেই অবদান ছিল সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব যেন পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই অপ্রতিরুদ্ধ। ব্যাটিং কিংবা বোলিং দুই বিভাগেই রয়েছেন সেরা ছন্দে।
মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে এজবাস্টনে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। ভারতীয় শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের প্রায় সবাই ডানহাতি। ফলে টাইগারদের বাঁহাতি বোলাররা এখানে পাবেন বেশি সুবিধা। এদিক থেকে হিসেব করলে স্পিন বিভাগে সাকিবের পাশাপাশি পেস বোলিং বিভাগে বাংলাদেশ দলের তুরুপের তাস হতে পারেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। এই দুই বোলারেরই আইপিএল খেলে ভালো অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে।
নিউজক্রিকেট২৪’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে অলরাউন্ডার অলক কাপালি জানান ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে প্রভাব বিস্তার করবেন সাকিব-মুস্তাফিজ।
কাপালি জানান, ‘ভারতের বিপক্ষে সাকিবই প্রধান অস্ত্র। তাদের রিশাব পান্ত ছাড়া সবাই ডানহাতি। তাই বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সাকিব যদি তার দশ ওভার ঠিকমত করতে পারে তাহলে ভালো হবে। গত ম্যাচে সে যেভাবে বোলিং করেছে দেখেন জাস্ট লাইন লেন্থটা ঠিক রেখে বল করেই উইকেট নিয়ে চলে এসেছে। তাই সাকিব যদি নিজের কাজটা করতে পারে তাহলে তাদের বিপক্ষে সাকিব ডেঞ্জার হবে।’
বাংলাদেশ দলের ডেথ ওভারে একটা ঘাটতি দেখা গিয়েছে বেশ। বিশ্বকাপে নিজেদের বেশিরভাগ ম্যাচেই ডেথ ওভারে রান বিলিয়েছেন বোলাররা। তাই এই দুশ্চিন্তা দূর করতে পারেন মুস্তাফিজ। কেননা ভারতের বিপক্ষে মুস্তাফিজের অতীতটা যে বেশ মধুর। অলক কাপালির মতে ডেথ ওভারে মুস্তাফিজের সাথে যদি সাইফউদ্দিন নিজের কাজটা করতে পারে তাহলে ভালো কিছুই হবে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে কিন্তু মুস্তাফিজ সবসময়ই ভালো বোলিং করে। ভারত আমাদের সাথে আগে যে ম্যাচ দুটো হেরেছে সেখানে কিন্তু মুস্তাফিজের অবদান অনেক বেশি ছিল। আমার মনে হয় পরবর্তী ম্যাচেও যদি আগের মত কাটার দিয়ে নিজের পারফরম্যান্সটা করতে পারে তাহলে ভারতের বিপক্ষে জয় সম্ভব। ডেথ ওভারে যদি মুস্তাফিজের সাথে সাইফউদ্দিন শেষের দশ ওভার করে তাহলেই ভালো হবে। সাইফউদ্দিন কিন্তু ডেথ ওভারে বেশ ইয়র্কার দিতে পারে। এটা যদি ঠিক থাকে তাহলে কিন্তু তাদের রান আটকে রাখা সম্ভব। আমরা যদি প্রথমে ফিল্ডিং করি তাহলে তাদের রান ৩২০ এর মধ্যে রাখা যায় তাহলে সেটা ভালো হবে।’
অন্যদিকে ভারতের পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ইনজুরিতে পড়ার পর দলে নতুন যুক্ত হয়েছেন মোহাম্মদ শামি। প্রতিপক্ষ দলকে ঘায়েল করতে ম্যাচে শামিও তার সুইং দিয়ে ব্যাটসম্যানদের কাবু করতে পারেন সেটা স্পষ্ট। ইংল্যান্ডের বিপখে ম্যাচেও একাই দখলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাই শামিকে নিয়েও বাড়তি পরিকল্পনার কথা জানালেন কাপালি।
তিনি বলেন, ‘শামি আসলে এইসব উইকেটের জন্য ডেঞ্জার বোলার। তার বল দুর্দান্ত কাট করে। তাই ওপেনিংয়ে যেহেতু বুমরাহর সাথে দেখা যাবে শামিকে এই দুজনের দশ ওভার যদি দেখেশুনে খেলে তারপর অ্যাটাক করি তাহলে ভালো হবে। তাদেরকে কোনোভাবেই উইকেট দেয়া যাবে না। এ দুজনকে উইকেট দিলেই তারা চড়ে বসে। তাদের দশ ওভারে যদি আমরা ৪০-৪৫ রানও করি তাহলেও সমস্যা নেই। প্রথম দিকে সময় নিতে পারলেই তামিম-সৌম্যদের জন্য ভালো হবে।’