ক্রীড়া প্রতিবেদক »
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে রাউলি রুশো ও কুইন্টন ডিককের ঝড়ো গতির ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই তাসকিনের শিকারে পরিণত হয় প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা। ২ রান দিয়ে প্রথম ওভারে তুলে নেন ১ উইকেট। তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসে রেইলি রুশো। ডি কক কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন দুজনই৷ পাওয়ার প্লেতে তাদের সংগ্রহ দাড়ায় ১ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান।
পরের গল্প শুধুই রুশো – ডিককের। তাসকিনের ওপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন রুশো। সুবিধা করতে পারছিলো বল হাতে কেউই। সাকিবের প্রথম ওভারেই ২১ রান তুলে নেন। কিন্তু বল হাতে ছন্দহীন মোস্তাফিজ এদিন বেশ ছন্দে ছিলেন৷ বাংলাদেশী বোলারদের পাড়ার বোলিং বানিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মাতেন দুই ব্যাটার৷ ফিফটি তুলে নেন দুজনই৷ ১০০ রানের জুটিকে পরিণত করেন ১৫০ রানে।
অবশেষে পার্টটাইম আফিফ ফেরান ডি কককে৷ শেষ পাঁচ ওভারে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পাঁচ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৯ রান তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকা। রেইলি রুশো করেন ৫৬ বলে ১০৯ রান। ২০৬ রানের বড় টার্গেট দাড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে দারুণ শুরু করেন সৌম্য – শান্ত। প্রথম ওভারেই আসে ১৭ রান।নরকিয়ার বোলিংয়ের কাছে সবাই যেন অসহায় হয়ে পড়েন৷ সৌম্য, শান্ত, সাকিবকে তুলে নেন পেসার নরকিয়া। চার উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ৪৭/৪। এরপর আসা যাওয়ার মিছিলে যুক্ত হন বাকী ব্যাটাররাও। মোসাদ্দেক ফেরেন ০ রানে৷ সোহানের ব্যাট থেকে আসে ২ রান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন লিটন দাস। বাংলাদেশ অল আউট হয় ১০১ রানে। এনরিচ নরকিয়া ৩ ওভার ৩ বলে ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। শামসিও তুলে নেন ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট।