নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবথেকে শান্ত বা ভদ্র চরিত্রের নাম খালেদ মাহমুদ সুজন। একাধারে বিপিএল, ডিপিএল, ডিভিশনাল ক্রিকেটের কোচিংয়ের সাথে বোর্ড ডিরেক্টরের মত বড় দায়িত্ব সমানভাবে সামলে এসেছেন অতীতে বর্তমানেও সামলাচ্ছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথমঘর বিসিবি গেইম ডেভলাপমেন্টের প্রধানও একসময়ের এই অলরাউন্ডার। বর্তমানে আছেন টিম ডিরেক্টর পদে।
একা একজন মানুষ হয়ে এত দায়িত্ব কিভাবে পালন করেন? সুজন অবশ্য বলেছিলেন, ‘আমি কাজটা ঠিকঠাক মত করতে পারি বলেই সবাই আমাকে দায়িত্ব দেয়। যদি না পারতাম দায়িত্বটা পাওয়ার কথা না।’
কথা কিন্তু খুব একটা খারাপ বলে নাই, যথেষ্ট বর্ণিল চকচকা কোচিং ক্যারিয়ার তার- আবাহনী, প্রাইম ব্যাংকের মত বড় দলগুলোকে ডিপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। সাকিব-সুজন জুটি তো ইতিমধ্যেই বিপিএলের ফাইনাল খেলেছে কয়েকবার’ শিরোপাও জয় করেছে।
এছাড়াও কোচ হিসেবে সুজন ঘরোয়া ক্রিকেটের শীর্ষস্থানীয় তিনটি টুর্নামেন্টে ট্রফি জয়ী দলের কোচ ছিলেন। প্রাইম ব্যাংক সেই মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন, বিজয় দিবস টি-টুয়েন্টি এবং বিসিএলের মতো বড় সব শিরোপা জয় করেছিলো।
বিসিবি’র এডহক কমিটিতে থাকায় কথা ছিল তার। কমিটিতে যোগ দিলে বিপিএলে কোচিং করাতে পারবে না, তাই সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি নেন সাবেক এই কাপ্তান। কোচিংয়ের প্রতি তার আলাদা আবেগটা অনেক আগে থেকে ছিলো। যার কারণে তিনি পুরোদমে কোচিং মনোনিবেশ করেন।
ক্রিকেটার কোটায় বিসিবির পরিচালক হলেও অফিস ওয়ার্কে খুব বেশি তিনি থাকতেন না কারণ মাঠের ধুলাবালিই নাকি তার প্রিয়, মাঠের সাথেই তার সম্পর্ক। খালেদ মাহমুদ সুজন সব সময় বলে এসেছেন, ‘আমি সবসময় বলেছি যত কিছুই করি কোচিংটা সবচেয়ে ভালোবাসি এবং এটি কখনোই ছাড়বো না।’
১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেমনটা তিনি করেছিলেন, ২০০৩ সালে পাকিস্তানের ঘরের মাটিতে, মুলতান টেস্টে। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে কঠিন সময়ে কঠিন ওভার গুলো তিনি করে গেছেন বুক চিতিয়ে। ক্রিকেটার হিসেবে সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দেয়া তো তিনিই দেখিয়েছিলেন।
সর্বশেষ গতকাল অনুর্ধ-১৯ গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম বিশ্বজয় করলেন, এই দলটাকে গত দুই বছর ধরে তিনি গুছিয়ে রেখেছেন, ঠিকমতো পানি দিয়ে পরিচর্চা করেছেন। তাই নামের পাশে যোগ হলো আরো একটি সোনালী পালক যেটার অনেক প্রশান্তির অনেক শ্রমের।
এতকিছুর পরও তিনি ত সবার সমর্থন বা ভালোবাসা আশা করতেই পারেন আর আমরা সমর্থকরা কি একটু সমর্থন বা ভালোবাসা দিতে পারি না, পারি অবশ্যই’ তাই নয় কি??