নিজের ক্যারিয়ার আকমল নিজেই নষ্ট করেছেঃ শোয়েব আখতার

নিউজ ডেস্ক »

পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক পেসার শোয়েব বলেছেন উমর আকমল তার নিজের দোষেই নিজের ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে। তবে শোয়েব এর জন্য পরোক্ষভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও (পিসিবি) দায়ী করেছেন ।

নিজের ইউটিউব চ্যলেনে শোয়েব এমন কথা বলেছেন। ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় পিসিবির ডিসিপ্লিনারি প্যানেল গত ২৭ এপ্রিল আকমলকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে। উমর আকমলকে ধরা হয় পাকিস্তান দলের অন্যতম সেরা প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের একজন।

শোয়েব আখতার বলেন্, ‘প্রতি ৬ মাস পর পর উমর আকমল কোনো না কোনো বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং পরে সে ধরা খায়। এভাবেই বারবার ভুল পথে হেঁটেছে। শেষ ৮-১০ বছরে ভিরাট কোহলি যদি ৩০-৪০টি সেঞ্চুরি করে থাকে তবে সেখানে উমররে সেঞ্চুরি সংখ্যা কোহলির কাছাকাছি থাকতো এটা আমি বলতে পারি। কমপক্ষে হলেও ৩টি সেঞ্চুরি কম থাকতো। এটা একমাত্র উমর আকমলেরই দোষ। সে নিজের ক্যারিয়ার নিজেই নষ্ট করেছে।’

পাকিস্তানের সাবেক এই পেসের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিষয়টি পিসিবি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় পিসিবির আইন বিভাগকে নিয়ে সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘উমর আকমলের শাস্তি কি আসলেই ন্যায়সঙ্গত হয়েছে? আমার কাছে মনে পিসিবির আইন বিভাগ সম্পূর্ণরূপে অকেজো এবং অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। বিশেষ করে ফজল রিজভী কোথা থেকে এসেছেন তা আমি জানি না। পিসিবির সঙ্গে গত ১০-১৫ বছর ধরে তিনি বেশ ভালো ভাবেই যুক্ত রয়েছেন। একটি মামলা হেরেছে এমন কোনো ঘটনা নেই।’

সাবেক পাকিস্তানি বোলার আরও বলেন ‘পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) জন্য পিসিবি যখন অনলাইন বাজি ধরাকে বৈধ করেছিল, তখন পিসিবির চিন্তা-ভাবনায় কী ছিল? আমাদের আইন ও সংবিধান যেখানে কোনো ধরনের বাজি সমর্থন করে না সেখানে পিসিবি কীভাবে এই বিষয়টিকে বৈধ করে? এখানে পিসিবি বড় ভুল করেছে সেই সাথে আমাদের সংবিধানকেও অপমান করেছে তারা। অনলাইন বাজিকে অনুমতি দেওয়ায় পিসিবিও ইসলামকে অপমান করেছে। কেউ জানত না পিসিবি কর্তৃক অনুমোদিত এই চুক্তি সম্পর্কে। আমরাও এই সম্পর্কে জানতাম না এমনকি পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিও এটি জানত না।’

পিসিবির ফিক্সিং আইন নিয়েও সমালোচনা করে শোয়েব আখতার। তিনি বলেন, ‘আমি একটা বিষয় জানতে চাই, কেন ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে এমন কোনো আইন পাস করা হচ্ছে না, যেখানে কোনও ক্রিকেটার ফিক্সিং সংক্রান্ত অপরাধে দোষী বলে প্রমাণিত হলে সেই ক্রিকেটারের কমপক্ষে ১০ বছর জেল হবে, শ্রীলঙ্কায় যেই আইনটা চালু রয়েছে। এই আইনটি যদি পাস হয় তবে কেউ ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো অপরাধ জড়ানোর সাহস পাবে না। ১৯৯৫ থেকে এটি শুরু হয়েছিল, এখন ২০২০ সাল চলছে, ক্রিকেটাররা এখনও ফিক্সিংয়ে জড়াচ্ছে। পিসিবির আইন বিভাগের অযোগ্যতার ও অক্ষমতার কারণে এমনটা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ সময়ঃ ৭:১৫ পিএম
নিউজক্রিকেট২৪/এসএমএস

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »