সানিউজ্জামান সরল »
‘মানু্ষ মরণশীল’ কথাটা চিরন্তন সত্য। এটা আপনি মানুন আর না মানুন, মৃত্যুর কষ্টদায়ক স্বাদ আপনাকে ভোগ করতেই হবে। চিরচায়িত এই নিয়মানুসারে, গতকাল (৪ ডিসেম্বর) সাবেক ইংলিশ অধিনায়কেও পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হলো দূরে, অনেক দূরে। যেখান থেকে তিনি কখনো আর ফিরে আসতে পারবে না।
থাইরয়েড ক্যান্সারের ফাঁদে পড়ে মৃত্যুকে বরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে ববের বয়স ছিলো ৭০ বছর। ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে বিশ্ব মাতানো এই ক্রিকেটারের মৃত্যুতে ইংরেজ ক্রিকেট পাড়ায় শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড।
বব উইলসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি বিবৃতিতে তার পরিবার বলেন, ‘মৃত্যুর আগে সে দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে ভোগছিলো। মূলত এই ক্যান্সারের কারণেই তিনি মারা গেছেন। প্রিয় ববকে হারিয়ে আমাদের হৃহৃদয় ভেঙেছে। তিনি সবার উপরই দারুণভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারতো।’
সাবেক এই ইংলিশ ক্রিকেটারের মৃত্যুতে তার পরিবারের মতো শোকাহত হৃদয় জর্জরিত হয়েছে শত ক্রিকেটপ্রেমীদেরও। আসলে, ইংলিশ কিংবদন্তির চিরকালের এ বিদায়ে দুঃখিত যেনো সকল ক্রিকেটানুরাগীই।
ইংল্যান্ডের হয়ে ১৩ বছর ক্রিকেট খেলা বব উইলসের অভিষেক হয় ১৯৭১ সালে। অভিষেকের পর থেকে শেষ অব্দি ৯০টি টেস্টে ২২ গজ মাতিয়ে ৩২৫টি উইকেট শিকার এবং ৬৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৮০টি উইকেট শিকার করেন এই কিংবদন্তি বোলার। তাছাড়া লিস্ট এ ক্রিকেটেও তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। লিস্ট এ তে ববের উইকেট শিকার ৪২১ টি।
প্রসঙ্গত, মাঠের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবার পরও ক্রিকেটের সাথেই যুক্ত থেকেছেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। স্কাই স্পোর্টসের সাথে কাজ করেছেন ধারাভাষ্যকার হিসাবে। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে একেকদিনের খেলা শেষে সেটার বিশ্লেষণ মজার মজার বাক্যে তুলে ধরতে তার জুড়ি মেলা ভার ছিল। সত্যি অসাধারণ ছিল তার বিশ্লেষণ করার ধরণ।