কে এম আবু হুরায়রা »
বৃষ্টির বাধায় মাঠে গড়ায়নি ৭টি ওভার। তবে এই ৪৩ ওভারের ক্রিকেট ম্যাচই বাংলাদেশকে ভাসিয়েছে রেকর্ড বন্যায়। তামিম ইকবাল এবং লিটন দাসের জন্য সিরিজটি থাকবে বিশ্বরেকর্ডের পাতায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির মালিক তামিম-লিটনঃ-
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ার সাথে সাথে ওপেনিংয়ে বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ জুটি গড়েন তামিম ইকবাল।
একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ জুটির মালিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপ এবং জন ক্যাম্পাবেল। গতবছর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই দুই ওপেনার গড়েছিলেন ৩৬৫ রানের জুটি। যা বিশ্বের ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন পাকিস্তানের ইমাম উল হক এবং ফখর জামানের দখলে। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতেই ৩০৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে রেকর্ড গড়েন তারা।
এরপরেই তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি তামিম ইকবাল এবং লিটন দাসের ২৯২ রানের জুটি। বৃষ্টির বাধায় খেলা কম হলেও থামানো যাচ্ছিলোনা তামিম-লিটনকে। মুম্বার বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে লিটন দাস ফিরে না গেলে হয়তো ভেঙে দিতেন ইমামুল হক এবং ফখর জামানের রেকর্ডও।
ক্যালিস-আমলার পাশে তামিম-লিটনঃ-
এই সিরিজে বাংলাদেশের মোট সেঞ্চুরি ৪টি যা বাংলাদেশেরতো সর্বোচ্চ এমনকি হাশিম আমলা এবং জ্যাক ক্যালিসের পাশে বসিয়েছে তাদের৷
এই সিরিজে তামিম ইকবালের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি এবং লিটন দাসের ৩ ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরিতে এই রেকর্ডে ভাগ বসান তামিম-লিটন।
উইকেট কিপার হিসেবে ব্যাক্তিগত তৃতীয় সর্বোচ্চ রানঃ-
আজকের ম্যাচে লিটন দাসের ১৭৬ রানের ইনিংস দিয়ে তিনি টপকে গেছেন এ্যাডাম গিলক্রিস্টের করা ১৭২ রানের ইনিংস। তার উপরে আছেন শুধু মাত্র মাহেন্দ্র সিং ধোনি এবং কুইন্টন ডি কক।
উইকেট কিপার হিসেবে সর্বোচ্চ ১৮৩ রান করে সেরা অবস্থানে মাহেন্দ্র সিং ধোনি এবং ১৭৮ রানে দ্বীপ অবস্থানে আছেন কুইন্টন ডি কক। এবং তৃতীয় অবস্থানে ১৭৬ রান করে লিটন কুমার দাস। চতুর্থ অবস্থানে ১৭২ রান করা এ্যাডাম গিলক্রিস্ট। এবং পঞ্চম অবস্থানে নিউজিল্যান্ডের লুক রঞ্চি।