তরুণদের আন্তর্জাতিক সম্ভাবনার দরজায় তালা দিলো আইসিসি!

দুর্জয় দাশ গুপ্ত »

সাফল্যের নেশা এখানের মানুষের এমন এক মোহের জগতে নিয়ে যায় যেখানে বাছ-বিচার এবং আগ-পাশের ভাবনাও দিব্যি জত সহজেই ভুলিয়ে দেয়। বাংলাদেশেও চিত্রটাও এক্ষেত্রে একদম অভিন্ন নয়। ধরা যাক অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটারদের ঘিরেই যা শুরু হয়েছে। আমজনতার ভাবনায় না হয় আবেগের বাঁধ দেওয়া যায় না কিন্তু তাই বলে বিশেষজ্ঞরাও নিজের বিশেষজ্ঞতা ভুলে একদম সাধারণের কাতারে নিজেকে নামিয়ে আনবেন? জানা যায়, নির্বাচক মন্ডলীর প্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও এর মধ্যেই বলে ফেলেছেন এই বিশ্বজয়ী দলের ৮-৯ জন ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে দেখার আশায় তিনি একদম বুক বেঁধে আছেন!

নির্বাচক কিংবা নীতি-নির্ধারকদের এমন কাণ্ড খুব দ্রুত ঘটিয়ে দিলেও কার্যকারণে একটি বিপত্তি বা বাঁধা কিন্তু আছেই। অন্তত তিনজন ক্রিকেটারের অদূর ভবিষ্যতে সিনিয়র পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনার দরজায় যেন তালা লাগিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (আইসিসি)।

পচেফস্ট্রমে ৯ ফেব্রুয়ারীর ফাইনালের পর ভারতের ক্রিকেটারদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ম্যাচ রেফারি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান তৌহিদ, অলরাউন্ডার শামীম আর স্পিনার রাকিবুল হাসানকে নিষিদ্ধ করেছেন।

বিভিন্ন মাপের সাসপেনশন পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে এই তিনজনকে। সবচেয়ে বেশী ১০ সাসপেনশন পয়েন্ট ব্যাটসম্যান হদয়ের। শামীম আর রাকিবুলের যথাক্রমে ৮ আর ৪ করে। একেকটি সাসপেনশন পয়েন্ট মানেই বড়দের ক্রিকেটে একটি করে ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি খেলতে পারবেন না।

এবার ধরা যাক, হদয়কে জাতীয় দলে নেওয়া হল খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে। নেওয়ার পর কোন লাভ হবে না। তাকে আগে বসিয়ে রেখে নিষেধাজ্ঞা শেষ করাতে হবে। এর পরে আসবে তাকে খেলানোর প্রশ্ন। তাও এক-দুই ম্যাচ নয়, দশ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। শামীম ও রাকিবুলের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা আট আর চার ম্যাচের। তাদের ক্ষেত্রেও আগে শাস্তি ভোগ করো, পরে খেলতে পারবে। এদিকে নির্বাচক প্রধানের চিন্তায় এই তিনজন যদি থেকে থাকেন তবে আপাতত কাজটি বেশ জটিলই হয়ে গেল।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »