নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
বাইশ গজের লড়াইয়ে নতুন একগাদা নিয়মকানুন যুক্ত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে এ পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে আইসিসি। বিতর্কিত ম্যানকাডিং আউটের বৈধতা দেওয়ার পাশাপাশি ক্রিকেটের নিয়মে আরও একগাদা পরিবর্তন আনা হয়েছে! যা আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।পুরুষ-নারী উভয়ের ক্রিকেটের জন্য এই নিয়মকানুন সমানভাবে জারি থাকবে।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে যেসকল নতুন নিয়মকানুন ক্রিকেটে যুক্ত হচ্ছেঃ
ম্যানক্যাডিং আউট এখন থেকে বৈধ:
ম্যানকাডিং আউটকে এতদিন বিশ্ব ক্রিকেটে বিতর্কিত একটি আউট হিসেবে গন্য করা হতো।বোলার তার বোলিং অ্যাকশন শেষ করার আগেই নন স্ট্রাইকার পপিং ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে বোলার স্ট্যাম্প ভেঙে দিলে তাকে ম্যানকাডিং আউট বলা হয়। এতোদিন ধরে এ আউটকে খেলার স্পিরিটের পরিপন্থী বিবেচনা করা হতো। তবে এই অবস্থান থেকে সরে এসেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এখন থেকে ম্যানকাড আউট সাধারণ রানআউটের মতোই বিবেচনা করা হবে।
ক্যাচ আউটে ব্যাটারের অবস্থান:
আগে ক্যাচ আউটের বেলায় বলটি ফিল্ডারের হাতে বন্দী হওয়ার আগে দুই ব্যাটার নিজেদের ক্রস করে ফেললে নতুন ব্যাটার ননস্ট্রাইক প্রান্তে খেলা শুরু করতেন। তবে এখন থেকে নতুন নিয়মে আর এটি হবে না। নতুন ব্যাটার সবসময় আউট হওয়া ব্যাটারের প্রান্তেই ব্যাটিং শুরু করবে।
ক্রিকেট বলে লালার ব্যবহারে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা:
করোনার সময়ে সংক্রমণরোধে ক্রিকেট বলে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইসিসি। কোনো দল এ ভুল একবার করলে তাদের সতর্ক করে দেয়া হতো। দ্বিতীয়বার করলে বোলার ও অধিনায়ককে দেয়া হতো শাস্তি। দুই বছর বন্ধ থাকায় এটা নিয়ে কোন সমস্যা না হলে চিরতরেই লালা ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে।
ম্যাচ চলার সময়ে পেনাল্টি শুরু ওয়ানডেতেও: চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্লো ওভার রেটের পেনাল্টি, ম্যাচের মধ্যেই দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইনিংস শেষ করতে না পারলে বৃত্তের বাইরে একজন কম ফিল্ডার নিয়ে খেলতে হয় ফিল্ডিং দলকে। চলতি বিশ্বকাপ সুপার লিগ শেষে ওয়ানডে ক্রিকেটেও এটি শুরু করা হবে।
স্ট্রাইকারকে রানআউটের চেষ্টা বাতিল: এত দিন ধরে চলা নিয়মে কোনো বোলার যদি বোলিং করার সময় পপিং ক্রিজে ঢোকার আগেই দেখেন স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটার ডাউন দ্য উইকেটে চলে এসেছেন, তাহলে বল না করে থ্রো করে ব্যাটারকে রানআউট করতে পারতেন। নতুন নিয়মে এই চেষ্টা করা যাবে না। এটি করা হলে ডেলিভারিটি ডেড বল ঘোষণা করা হবে।
পিচ ব্যবহারে ব্যাটারের অধিকার : যে কোনো ডেলিভারি মোকাবিলা করার জন্য ব্যাটারের ব্যাট অথবা শরীরের যে কোনো অংশ পিচের ভেতরেই থাকতে হবে। অন্যথায় এটি ডেড বল হিসেবে গণ্য হবে। একইভাবে বোলারের কোনো ডেলিভারি যদি ব্যাটারকে পিচের বাইরে নিয়ে যায় তাহলে সেটি নো বল ডাকা হবে।
নতুন ব্যাটারের ক্রিজে আসার সময়: নতুন নিয়ম অনুযায়ী ওয়ানডে ও টেস্টে কোনো ব্যাটার আউট হওয়ার পর দুই মিনিটের মধ্যে নতুন ব্যাটারকে প্রথম বল খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আগের নিয়মে তিন মিনিট সময় পেতেন। তবে টি-টোয়েন্টিতে আগের মতোই তিন মিনিট বহাল থাকছে।
ফিল্ডিং দলের অনৈতিক জায়গা পরিবর্তন: কোনো বোলার তার রানআপ শুরু করে দেয়ার পর ফিল্ডিং দল তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারবে না। এখন থেকে এটি ধরা পড়লে ফিল্ডিং দলকে পাঁচ রান পেনাল্টি দেয়া হবে, পাশাপাশি সেই ডেলিভারিটি ডেড বল ঘোষণা করা হবে।
হাইব্রিড পিচ ব্যবহারের অনুমোদন: এখন থেকে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সম্মতির ভিত্তিতে যে কোনো ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হাইব্রিড পিচ ব্যবহার করা যাবে। এত দিন ধরে শুধু মেয়েদের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে হাইব্রিড পিচ ব্যবহারের অনুমতি ছিল। কোনো টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পিচের ব্যবহার অভিন্ন রাখতে এখন থেকে সব ম্যাচেই এটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়অ হয়েছে।