নিউজ ডেস্ক »
তাসকিন আহমেদ, অনেক সম্ভাবনা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসা। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে ৫ উইকেট, জানান দিয়েছিল তার ক্রিকেটীয় সামর্থ্যকে। গতি, সুইং দিয়ে পরাস্ত করেছিলেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের৷ দেশের হয়ে খেলেন ২০১৫ বিশ্বকাপ। নিয়েছিলেন দেশের হয়ে সব চেয়ে বেশি উইকেট। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যান তাসকিন। জাতীয় দলে নিয়মিত না অনেকদিন। নিজের দোষ কাঁধে নিয়ে তরুণদের তিনি দিলেন এক বার্তা।
বাংলাদেশ নিয়মিত ফাস্ট বোলার বলতে ছিলেন শুধু মাশরাফি৷ তিনিও ইঞ্জুরির কারণে আসা যাওয়াতে ছিলেন। কিন্তু ২০১৩’র পরে নিয়মিত দলে। তার ব্যাকাপ হিসেবে তেমন কেউ ছিলো না। তাসকিনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আসা। সবাই হয়তো ভেবেছিলেন একজন আদর্শ ফাস্ট বোলার হয়তো পেয়ে গেছে দেশ। গতি,সুইং,হাইট সব কিছুই ছিলো। প্রথম ২, ৩ বছর নিয়মিত পারফর্ম করেছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে তার বোলিং একশনে সমস্যা দেখা দিলে তার বোলিং একশন পাল্টাতে হয়। সেথেকে তাসকিনের আর আগের ধার ছিলোনা। হারিয়ে যান দিনের পর দিন। উইকেট নিলেও ছিলেন অনেক খরুচে। বলের গতি, সুইং সব কমে গিয়েছে। আর এসবের জন্য নিজেকে দুষছেন তাসকিন নিজেই।
গতকাল তামিম ইকবাবের সাথে লাইভে আসেন তাসকিন আর রুবেল। আড্ডায় তাসকিনের এসব ইস্যু চলে আসে। তাসকিনের নিজের কারণে এই অবনতি হয়েছে বলে জানান নিজেই।
তাসকিন বলেন, ‘শুরুতে আমি অনেক পরিশ্রম করি। কয়েক সিরিজে ভালো করি। বিশ্বকাপেও ভালো করি। উইকেট পাচ্ছিলাম নিয়মিত। এরপর আমার অনেক এন্ডোর্সমেন্ট আসা শুরু করে৷ আমি মনে করতে শুরু করি আমি ম্যাচে খেললেই ভালো করবো। আমার পরিশ্রম করা কমিয়ে দেয়। নিজের যত্ন কম নিয়েছি যার ফলে আমি বেশি ইঞ্জুরিতে পড়েছিলাম। যার কারণে আমার গতি কমে গেছে।’
তাসকিন এই ব্যাপার গুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে তরুণ ক্রিকেটারদের একটি বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার এই ব্যাপার গুলো থেকে অনেক শিক্ষা নিয়েছি। যারা কম বয়সে তারকা হবে তাদের আমি বলবো, আমি ক্রিকেটে পরিশ্রমের সাথে কোনোদিন কম্প্রোমাইজ করবো। আমি জানিনা ফলাফল কি হবে। কিন্তু পরিশ্রম করা নিয়ে কোনো হেলাফেলা করবোনা। নতুন যারা আসছে তারা যাতে এই ভুল না করে তাদের আমি বলবো, শুরুর দুই-তিন বছর ‘ফাটাই’ পারফর্ম করার পর সিরিয়াসনেসটা যেনো কমে না যায়। এটি বাড়াতে হবে। তবেই আমার মত কারো হবেনা।’
বাংলাদেশ সময়ঃ ৪:৩৫ পিএম
নিউজক্রিকেট/আরআর
