নিউজ ডেস্ক »
সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ৪৫ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।
আগের দিনের ২ উইকেটে ৬৫ রান নিয়ে ১৬০ রানে পিছিয়ে থেকে ৪র্থ দিন শুরু করে লংকানরা। লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত ৮৩ রান তুলতেই হারায় আরো ৫ উইকেট। ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় তখন সময়ের ব্যাপার। লাঞ্চ বিরতির পর হাসারাঙ্গা নিজের মেইডেন টেস্ট ফিফটি তুলে নিলেও দলের সাথে ৩২ রান যোগ করতেই আউট হন হাসারাঙ্গা ও রাজিথা। সিলভার ইঞ্জুরিতে ৯ উইকেটে ১৮০ রানেই থামে লংকানদের ইনিংস।
এর আগে সেঞ্চুরিয়ানে টসে জিতে প্রথম ইনিংসে চান্দিমাল, সিলভা ও শানাকার অর্ধশতকে ৩৯৬ রানে শেষ হয় লংকানদের ইনিংস। চান্দিমাল সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। প্রোটিয়াদের পক্ষে সিমপালা সর্বোচ্চ ৪ টি ও মুল্ডার নেন ৩ উইকেট। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এলগার, ডু প্লেসিস, মহারাজদের ব্যাটে ৬২১ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। এলগার ৯৫ ও ডু প্লেসিস মাত্র ১৯৯ রানে আউট হন। মাত্র ১ রানের জন্য নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেন ফাফ। লংকানদের পক্ষে হাসারাঙ্গা ৪ টি ও ফার্নান্দো নেন ৩ উইকেট।
২২৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারী লংকানরা। ২২ রানেই কারুনারত্নে ও কুশাল মেন্ডিসকে হারালে ২ উইকেটে ৬৫ রানে ৩য় দিন শেষ করে লংকানরা। ৪র্থ দিনের প্রথম সেশনেই কুশাল পেরেরার অর্ধশতকের পরেও লাঞ্চ বিরতির আগেই ১৪৮ রানে ৭ উইকেট হারালে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। নর্খিয়া-সিমপালাদের বোলিং তোপে ১৮০ রানেই শেষ হয় লংকানদের দ্বিতীয় ইনিংস। এনগিডি মুল্ডার, সিমপালা ও নর্খিয়া প্রত্যেকেই ২ টি করে উইকেট শিকার করেন।
স্কোরঃ শ্রীলঙ্কা ৩৯৬/১০ ও ১৮০/৯
দক্ষিণ আফ্রিকা ৬২১/১০
ফলাফলঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ৪৫ রানে জয়ী।