নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
এই বিশ্বকাপের স্বাগতিক দল ইংল্যান্ড। শুধু স্বাগতিক বা হোম এ্যাডভান্টেজের সুবিধায় ইংল্যান্ড এগিয়ে এমনটা নয়। এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হট ফেভারিট হিসেবে ধরা হচ্ছিলো। এমনকি ইংলিশদের এই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এই হট ফেবারিট ইংল্যান্ড কিনা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আছে।
তবে ইংলিশরা ছিটকে গেলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না। কারণ ইংল্যান্ডের বাকি আছে আর মাত্র তিনটি ম্যাচ। আর প্রতিপক্ষ হলো: অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভারত। কেন ইংলিশরা ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কায়? আমরা যদি একটু পরিসংখ্যানের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে যে ১৯৯২ সালের পর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডরা কখনোই বিশ্বমঞ্চে অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারতকে হারাতে পারে নি।
এমনকি নিউজিল্যান্ডের সাথে বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বশেষ ইংলিশরা জিতেছে ১৯৮৩ এর বিশ্বকাপে। এই গেলো পরিসংখ্যানের বিষয়। এরপর আসি স্বাগতিকদের হোম এ্যাডভান্টেজ নিয়ে। আপনারা অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন যে ইংল্যান্ডরা স্বাগতিক দল হয়তো সেই সুবিধায় তারা সেমিতে জায়গা করে নিবে।
তাদেরকে একটু জানিয়ে রাখতে চাই ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ বিশ্বকাপে স্বাগতিক দল সেমি পর্যন্ত যেতেই পারে নি। তবে ক্রিকেট এমন একটি খেলা যেখানে অনেক কিছুই হতে পারে। নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো খেলবে সেই জিতবে।
তবে ইংলিশরা ব্যর্থ হলে সেমি ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে ইংলিশদের বাকি ৩টি আর বাংলাদেশের আর বাকি ২টি ম্যাচ। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড যদি ৩টি ম্যাচ হারে তবে বাংলাদেশের আর মাত্র একটি ম্যাচ জিতলে হয়ে যাবে । আর ইংল্যান্ডরা তিনটি ম্যাচে একটিও জিতে তবে বাংলাদেশকে পরের দুইটি ম্যাচ জিততে হবে।
তবে বাংলাদেশ এখন এসব নিয়ে ভাবছে না। বাংলাদেশের ভাবনা বাকি দুটো ম্যাচ সফলভাবে খেলা এবং জয় তুলে নেয়া। তবে এই ইংল্যান্ডের দিকে দৃষ্টি রাখলেও শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানও বাংলাদেশের কাছাকাছি রয়েছে। তবে সর্বোপরি একটি কথা বলতে চাই ক্রিকেট একটি নির্দিষ্ট দিনের খেলা। যে দিনে যে ভালো খেলবে সেই জয় পাবে।