সাফায়েত ফুয়াদ »
ইতিহাস রচনা করে গতকাল ভারত বধের মাধ্যমে বিশ্বকাপ জয় করল টাইগার যুবারা। মুমিনুলের বাংলাদেশ যখন রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে অন্যদিকে যুবারা করেছে বিশ্ব জয়, অবাক হয়েছে পুরো পৃথিবী। ছোটদের এই অর্জন টিভির সামনে থেকে উপভোগ করেছে বড়রা। তাদের ভিতরে বিশকাপ জয়ের অদম্য স্পৃহা বিদ্যমান ছিল।
‘যুবদল থেকে আমাদের শেখা উচিত’ মুমিনুল ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা সরাসরি বলেছেন।
মুমিনুল আরও বলেছে ‘তারা মাঠে যেভাবে লড়াই করেছে, যে ধৈর্য দেখিয়েছে সেটা আমাদের শেখা উচিত। তাদের থেকে আমারা আরেকটি বিষয় নিতে পারি। তারা যেভাবে নিজেদের উপর বিশ্বাস রেখেছে এবং একে অপরের সাথে যে যোগাযোগ করেছে সেটাও আমরা গ্রহণ করতে পারি।’
তাহলে জুনিয়ররা হচ্ছেন সিনিয়রদের রোল মডেল। সাংবাদিকদের এ ধরনের প্রশ্ন এড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট ক্যাপ্টেন। আপনি জুনিয়র কিংবা সিনিয়র যে কারো কাছ থেকে শিখতে পারেন। আপনার শিখতে পারাটা মূল বিষয়। তারা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে কীভাবে বড় সাফল্য পেতে হয়। তারা অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। তাদেরকে দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই।
এক সময়কার যুবদলের খেলোয়াড় মুমিনুল এখন জাতীয় দলের টেস্ট ক্যাপ্টেন। তিনিও যুব বিশকাপ খেলেছেন। কেন বাংলাদেশ অতীতে পারনি আর এখন কেন পারল? সে ব্যখ্যা ও দিয়েছেন মুমিনুল। ‘আমার কাছে মনে হয় যারা যুবদলের খেলোয়াড় ছিল তারা খুব বেশি ক্ষুধার্থ ছিল। সবথেকে ভালো যে দিক ছিল তারা দুই বছর একসাথে খেলেছে। এটা খুব ইতিবাচক দিক। একজন আরেকজনকে জানা, একজনের আরেকজনের সাথে যোগাযোগ রাখা, বিশ্বাস রাখা। মাঠে হয়ত দেখেছেন একজন আরেকজনের জন্য চিৎকার করছির যেভাবে ব্যাকাপ করছিল সেখানে বিশ্বাস চলে আসে।’
‘এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব থেকে বড় অর্জন। এর থেকে বেশি কিছু হতে পারে না। আমার বিশ্বাস এখান থেকে ছয় সাতটা খেলোয়াড় পাবে যারা পরবর্তীতে বাংলাদেশকে সার্পোট দিতে পারে।’ _যোগ করেন মুমিনুল।
নিজেদের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘খুবই হতাশাজনক পারফরম্যান্স। কোনো অজুহাত দেব না। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। আমাদেরকে আমাদের ভুলগুলো শুধরাতে হবে। টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের আরও ৮-৯ ম্যাচ আছে। আশা রাখি আমরা ঘুড়ে দাড়াতে পারব।’