মাশরাফি বাদ পড়ায় অবাক হয়েছিলেন মুশফিক

নিউজ ডেস্ক »

সব ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ খেলা আর সেটা যদি হয় নিজের দেশের মাটিতে তখন স্বপ্ন রূপ নেয় আবশ্যিক এক লক্ষ্যে। ২০১১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে তিন দেশের সহযোগী আয়োজকের একটি ছিল বাংলাদেশ। আর সেই বিশ্বকাপে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেন নি মাশরাফী বিন মোর্ত্তুজা।

বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পাওয়ায় মাশরাফী সেদিন গণমাধ্যমের সামনে নিজের কান্নাকে আড়াল করতে পারেননি। মাশরাফীকে দলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে হয়েছিল স্টেডিয়ামের সামনে মানববন্ধন। কিন্তু তবুও লাভ হয়নি। মাশরাফীকে ছাড়াই সে বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছিলো বাংলাদেশকে।

ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের শেষ লাইভে অতিথি হিসেবে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম আর সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তুজা। আর এই লাইভ সেশনেই মাশরাফী জানিয়েছেন তার সেই সময়ের মানসিক অবস্থা।

মাশরাফী বলেন, ‘প্রথম জিনিস হচ্ছে আমার একটাই স্বপ্ন ছিল যে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলবো। যখন শুনলাম বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড কাপ হবে তখন ইচ্ছেটা আরো বেড়ে যায়। সবার একটা স্বপ্ন থাকে নিজ দেশে বিশ্বকাপ খেলা। আমি আমার লাইফে দুইবার খুব ইমোশনাল হয়ে যাই। তার মধ্যে একবার ছিলো ২০১১ ওয়ার্ল্ড কাপে।’

কিন্তু জানা গেল মাশরফীর বাদ পড়ার পেছনে ছিল ফিজিও মাইকেল হেনরির বড় এক ভুল। মাশরাফীর মেডিকেল রিপোর্ট মাইকেল পুরোটা না পড়েই পাঠিয়ে দিয়েছিল তখনকার সময়ের নির্বাচকদের কাছে।

এ ব্যাপারে মাশরাফী বলেন, ‘তখন সে বলল নাহ তো। আমি পুরোটাই লিখে পাঠিয়েছি। আমি যখন হেনরিকে বললাম তখন সে বললো, দেখ তুমি মোবাইল চেক করে। পরে আমি যেটা দেখলাম, সে (হেনরি) নীচে যে রিড মোর অপশন থাকে সেখানে আর যায়নি। যদিও এরপর সে আমাকে সরি বলেছে। কিন্তু ওর সাথে তখন তো আর ঝামেলা করেতো লাভ নেই। মূলত আমি যেটা বললাম এখন আমার ফ্যামিলিকে ব্যাক পাবো দেখেই এসব আমার সাথে ঘটেছে। মোট কথা আল্লাহ্‌ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।’

এদিকে বিশ্বকাপ থেকে নড়াইল এক্সপ্রেসের ছিটকে যাওয়া অবাক করেছিল মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিককেও।

মুশফিক বলেন, ‘বলার অবকাশ রাখে না আসলে। তিনি এমন একজন প্লেয়ার, একজন লিডার তার না থাকাটা খুবই অবাক করা ব্যাপার ছিল। কিন্তু তখন আমি আমার ক্যারিয়ারের একদম শুরুর স্টেজে ছিলাম আর তাই অতকিছু বুঝতে পারিনি।’

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »