আকরাম-নান্নুদের স্মৃতিচারণে তরুণ প্রজন্মের মুগ্ধতা

নিউজ ডেস্ক »

তামিমের লাইভ শো ইতিমধ্যেই সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে৷ এ-র মধ্যে নতুন করে মাত্রা যোগ করেছে সিনিয়র খেলোয়াড়দের স্মৃতিচারণা। না জানি আরো কত ইতিহাস চাপা পড়ে আছে। সত্যি বলতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আজকের এই অবস্থানে আসার পিছনে, যেসকল মানুষ নিরলসভাবে কোন স্বার্থ ছাড়াই শ্রম দিয়ে গেছেন তা অমূল্য। সেই ৯৭ সাল থেকে ঘুরে যাওয়া মোড় থেকে আজকের এতদূর আসা। এ-র পিছনে সিনিয়রদের কৃতিত্ব অনেকটাই৷

আকরাম,নান্নু,বুলবুল,রফিক,সুজন, আতাহার,পাইলট,সানওয়ার, সাইফুল, শান্ত, আরো অনেকে এরাই আজকের বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনালী দিনের ভিত গড়ে দিয়েছেন। শত ত্যাগ-তিতিক্ষা, শত ধৈর্য্যের পরীক্ষা, ভালোবাসা দিয়ে শ্রম দিয়ে এই পথচলা শুরু । তাদের হয়তো বিশাল বিশাল রানের পাহাড় নেই। রেকর্ডের ঝুলিতে নেই অঢেল উইকেট। তবে তাদের ডেডিকেশন ছিলো প্রচুর।

হয়তো তখন আমরা প্রচুর ম্যাচ জিততাম নাহ৷ তবে সেইসব ম্যাচ জেতানো ইনিংস, ৫০/৬০ রানের ইনিংস ছিলো অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। তখন ছিলোনা আজকের মতো সুব্যবস্থা, ছিলোনা এত চাকচিক্য। সে হিসেবে তাঁদের পক্ষ থেকে দিয়ে যাওয়া ইনিংসগুলোই ছিলো মানুষের চোখের প্রশান্তি। ৯৭ এ-র সেই জয় ই আমাদের বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠিত করেছে একটি উড়তে থাকা ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ হিসেবে।

তৎকালীন শক্তিশালী বোলিং এট্যাকের কাছে এমন ম্যাচ জেতা অনেক কঠিন ছিলো বললে ভুল হবেনা। এরপর বিশ্বকাপের আসরে নিজেদের কে আরো উচ্চ মর্যাদায় আসীন করা, এরপর টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তি এসবই তাঁদের ত্যাগেরই উপহার। বাংলাদেশ হয়তো এখন ম্যাচ জেতায় অনেকটা অভ্যস্ত। তবে প্রথম জয় সবসময় আলাদা। তখনকার কঠিন সময়গুলো পাড় না করলে আজ এতদূর আসা হতোনা।

এ প্রজন্মের অনেকেই আকরাম-নান্নু-বুলবুলের বিধ্বংসী ইনিংস সরাসরি দেখেনি। দেখেনি তাদের নিঃস্বার্থ ত্যাগ। তামিমের লাইভে স্মৃতিচারণায় যেন স্পষ্ট ফুটে উঠছিলো এদেশের ক্রিকেটের সোনালী সময়ে যাত্রা পথের প্রতিচ্ছবি। প্রত্যেকটা পথ কতটা বাঁধা অতিক্রম করে পাড়ি দেওয়া হয়েছে সব যেন স্বপ্নের মতোই। ড্রেসিং রুমের খুনসুটি, সবার মধ্যে বোঝাপড়া আরো নানান কিছু। একসময়কার ঢাকা লীগের সেই দাপুটে সময়ের কথন। পুরোপুরি যেন নস্টালজিক হয়ে পড়ার মতোই।

জানা-অজানা কত ইতিহাস উঠে এসেছে। যা থাকে এই তটুণ প্রজন্মের অনেক কিছুই শেখার আছে। হাজার ক্রিকেটার হয়তো আসবে যাবে৷ তবে ৯০ দশকের সেই টাইগারদের কীর্তিগাঁথা থাকবে চিরস্মরণীয়। বিশ্বসেরা বোলিং এট্যাকের বিপরীতে খেলা সেই টাইগার বাহিনী। বাংলাদেশ ক্রিকেট যতদিন থাকবে, ততদিন জাতি এদের মনে রাখবে। জাতি মনে রাখবে ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি। জাতি মনে রাখবে ৯৯ এ-র স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ। জাতি মনে রাখবে প্রথম পাকিস্তান বধ। ভালোবাসা এবং আন্তরিক শ্রদ্ধা জাতির এই সূর্য সন্তানদের প্রতি।

বাংলাদেশ সময়: ১:০০ পিএম

নিউজক্রিকেট/সাজিদা

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »