৭ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ওমানের ক্রিকেটার!

মারুফ ইসলাম ইফতি »

ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়ে তা আইসিসি ও টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে গোপন করার অভিযোগে বড় ধরনের শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে ওমান জাতীয় দলের ক্রিকেটার ইউসুফ আব্দুল রহিমকে।

ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়া নতুন কিছু নয়।ক্রিকেটাররা জুয়াড়িদের দেওয়া এমন ফিক্সিং এর প্রস্তাব প্রায় সময় পেয়ে থাকেন।আইসিসির চোখে প্রস্তাব পাওয়াটা দোষের কিছু নয়, তবে প্রস্তাব পেয়ে সেই বিষয়টি আইসিসির কাছ থেকে গোপন করাটা আইসিসির নিয়মে মারাত্মক অপরাধ।যে কারনে এমন একটি ভুলের জন্য এরই মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানও শাস্তি ভোগ করে যাচ্ছেন।তবে সাকিবের তূলনায় ইউসুফ আব্দুল রহিমের অপরাধ অনেক বেশি গুরুতর, যার কারনে অপরাধের ধরন এক রকম হলেও শাস্তির দিকটা সাকিবের তূলনায় ৭ গুন বেশি হয়েছে এই ক্রিকেটারের।

উল্লেখ্য গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে ফিক্সিং এর প্রস্তাব পেয়েছিলেন ইউসুফ।জুয়াড়ির দেওয়া ফিক্সিং এর প্রস্তাব পেয়ে ফিক্সিং করতে রাজীও হয়েছিলেন।শুধু তাই নয়,চেয়েছিলেন নিজের দলের আরেক সতির্থকেও এই কাজে শামিল করতে।কিন্তু ম্যাচ পাতানোর এই প্রস্তাবটি গ্রহন করেনি ইউসুফ এর সতির্থ।ইউসুফের দেওয়া ফিক্সিং প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বিষয়টি সাথে সাথে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট আকসুকে জানান ওই ক্রিকেটার,যার ফলে খুব বাজেভাবে ফেঁসে যান ইউসুফ।

বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার পর ইউসুফের বিরুদ্ধে চারটি গুরুতর অভিযোগ দাঁড় করায় আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট আকসু।সমস্ত অভিযোগ স্বিকার করে নেওয়ায় আজীবন নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা থেকে বেঁচে গেছেন এই ক্রিকেটার।মুলত সকল অভিযোগ মেনে নেওয়ায় এবং আইসিসিকে তদন্তে সহযোগীতা করায় আজীবন নিষিদ্ধ না হয়ে ৭ বছরের শাস্তি পেয়েছেন এই ক্রিকেটার।

ইউসুফের শাস্তির ব্যাপারে আকসুর ম্যানেজার মার্শাল বলেন: ইউসুফ যে অপরাধ করেছে তা আমাদের আইনে অনেক বড় ধরনের অপরাধ। ওর শাস্তিটা আরো গুরুতর হতে পারতো। তবে সে নিজের ভুলের কথা স্বিকার করায় এবং তরুন ক্রিকেটারদের এমন অপরাধ থেকে নিজেদের সচেতন রাখার জন্য সাহায্য করতে রাজী হওয়াতে তার শাস্তি তুলনামূলক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »