নিউজ ডেস্ক »
বর্ণবাদ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর পুরো বিশ্ব তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে। এদিকে উইন্ডিজ ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামি নিজের ফেসবুক আইডিতে জানান যে, আইপিএল খেলার সময় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে তাকে ও লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরাকে “কালু” নামে ডাকা হতো। তখন তিনি এটির অর্থ জানতেন না। সম্প্রতি জর্জ ফ্লয়েড হত্যার নিন্দার সাথে সাথে আইপিএলের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করে বর্ণবাদের অভিযোগ করেন।
তার এই অভিযোগের পর ক্রিকেট দুনিয়ায় ব্যাপক হৈ-চৈ সৃষ্টি হয়। তবে তার এই অভিযোগ অস্বীকার করেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সতীর্থ খেলোয়াড় ইরফান পাঠান,পার্থিব প্যাটেল, ভেনুগোপাল রাও এর মতোন খেলোয়াড়েরা। তারা বলেন, স্যামিকে বর্ণবাদের কোনো বিষয় তাদের নজরে পড়েনি। এ কথার প্রেক্ষিতে কিছুটা বিতর্কের অবসান ঘটলেও হঠাৎ ইশান্ত শর্মার ২০১৪ সালের ১৪ ই মে আইপিএল খেলার সময় করা এক ইন্সটাগ্রাম পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর আবারো বিতর্কের জন্ম হয়।
ইশান্ত শর্মার সেই ইন্সটাগ্রাম পোস্টের ছবিতে ইশান্ত শর্মা, ড্যারেন স্যামি, ভুবনেশ্বর কুমার ও ডেল স্টেইন। তবে ক্যাপশনে ইশান্ত শর্মা ড্যারেন স্যামিকে ‘কালু’ বলে আখ্যায়িত করেই পুনরায় বিতর্কের জন্ম দেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি, ভুবি, কালু ও গান রাইজার্স। তার এই ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ব্যাপক হৈচৈ শুরু হয়। সতীর্থ খেলোয়াড়েরা অস্বীকার করলেও ইশান্ত শর্মার ইন্সটাগ্রাম পোস্ট ই প্রমাণ করে ড্যারেন স্যামির মতো খেলোয়াড়েরা বর্ণবাদের বলি হতেন।
নিউজক্রিকেট/এইচএএম