শোয়েব আক্তার »
গতকাল খুলনা ক্লাবে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। বিয়ে উপলক্ষ্যে পরিবারের সকল সদস্য, ভক্ত, শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। তবে উৎসবের মাঝেও ঘটে গেছে এক অপ্রীতিকর ঘটনা। বিয়ের অনুষ্ঠানে সামান্য বিঘ্ন ঘটলেও শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে ই সব কিছু সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে। অনুষ্ঠান স্থলে খুলনা স্বাভাবিকভাবেই ছিল প্রচণ্ড ভিড়। খুলনা ক্লাবের গেট দিয়ে বরযাত্রী ভেতরে প্রবেশের সময় মোবাইল ফোন খোয়া যায় সৌম্য সরকারের বাবা কিশোরীমোহন সরকার, বরযাত্রী দীনবন্ধু মিত্রসহ মোট সাতজনের। এ সময় হারিয়ে যাওয়া মোবাইলে ফোন দিয়ে এক চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়। তল্লাশি করে তার কাছে পাওয়া যায় আরও পাঁচটি ফোন। বিষয়টি খুলনা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন সৌম্য সরকারের ভাই প্রণব সরকার। তবে তিনি অভিযোগ করেন, খুলনা ক্লাবের লোকজন বিষয়টি নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে তাদের উপর চড়াও হোন এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।
তবে, খুলনা ক্লাবের ডেপুটি সেক্রেটারি সেফগাতুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “চোর ধরা পড়ে যাওয়ার পর আমরা চেয়েছিলাম, তাদের যেন আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমরাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিলাম।”
প্রণব কুমারের মতো একই অভিযোগ করেন সৌম্যর মামা স্বদেশ কুমার সরকার। তিনি বলেন, “খুলনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিষয়টি আমলে নেয় নি।”
খুলনা ক্লাবের ঘটনার ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বলেন, “মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে খুলনা ক্লাবের স্টাফ ও বরযাত্রীদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। তবে, সেখানে কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। ভিড়ের মধ্যে কারও গায়ে একটু ধাক্কা লাগতে পারে। দুই চোর থানায় আটক আছে। তাঁদের কাছ থেকে মোট পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”