নিজস্ব প্রতিবেদক »
হাটি হাটি পা পা করে বিশ বছর পূর্ণ করেছে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট। পাওয়ার চেয়ে না পাওয়ার গল্প বেশ দীর্ঘ হলেও লম্বা সময় টিকে আছে লড়াইয়ে। তবে পেয়েছে সাদা পোশাকের কয়েকজন পাক্কা ব্যাটসম্যান। সে-কালের হাবিবুল বাশার সুমন কিংবা এ-কালের মুশফিকুর, সবকটা বিশ্বমানের টেস্ট ব্যাটসম্যান বলাই যায়।
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সেরা পাঁচ টেস্ট ব্যাটসম্যানের তালিকা করতে গেলে সবার আগে যে নামটি আসে, তা হলো মুশফিকুর রহিম। মিঃ ডিপেন্ডেবল এর ম্যাচও খেলেছেন অন্য সবার চেয়ে বেশি, গোটা ৭০। ইনিংসের হিশেবে ১৩০। তাই তো ৪,৪১৩ রান নিয়ে এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যানের জায়গাটি তাঁর। সাতটি শতকের সাথে আছে একুশটি অর্ধশত রানের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম দ্বিশতক হাঁকানো ব্যাটসম্যানও মুশফিক।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিম ইকবালের রান মুশফিকের চেয়ে মাত্র আট রান কম। ম্যাচ খেলেছেন তাঁর চেয়ে ১০টি কম। সেই হিসেবে মুশফিকের সমান ম্যাচ খেলতে পারলে সবার উপরে যে ড্যাশিং ওপেনারের নাম থাকতো, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। ৯টি শতক আর ২৭টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪,৪০৫ রান করেছেন ১১৫ ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ওপেনার। একটি ডাবল সেঞ্চুরী হাঁকানোর কৃতিত্বও রয়েছে তাঁর।
এরপর সাকিব আল হাসানের রান ৩,৮৬২। ৫ শতক আর ২৪টি অর্ধশতক। এই ব্যাটসম্যানও হাঁকিয়েছেন দ্বিশতক। মিস্টার অলরাউন্ডারের ম্যাচ সংখ্যা ৫৬ আর ইনিংস ১০৫। তাঁর পরের জায়গায় আছেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। গুনে গুনে ৫০ ম্যাচে মাঠে নামা সুমনের রান ৩,০২৬। ছব্বিশ বার পঞ্চাশ পেরুলেও তিন অংক ছুঁতে পেরেছিলেন মাত্র তিনবার।
রান করার তালিকায় পাঁচ নম্বরে অবস্থান করলেও বাংলাদেশের স্পেশালিষ্ট টেস্ট ব্যাটসম্যানের খেতাবটি কেবলমাত্র মুমিনুল হকের। ২০১৩ সালে সাদা পোশাকে অভিষিক্ত এই ছোটখাটো তরুণটি এখন লিটল মাস্টার বনে যাওয়ার একমাত্র কারণ, তাঁর শৈল্পিক ব্যাটিং। মাত্র ৪০ টেস্ট থেকে রান করেছেন ২,৮৬০। ইতোমধ্যেই টাইগারদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি (৯টি) সেঞ্চুরীর রেকর্ডটিও তাঁর (যৌথভাবে তামিম ইকবালের সঙ্গে)। ব্যাটিং গড়ও সবার উপরে, ৪০.৮৫।
নিউজক্রিকেট/ইমতিয়াজ