নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন উঠছে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি পাতানো ছিলো। সে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে ২৪ বছর পর বিশ্বকাপ ঘরে তোলে ভারত। তবে হটাৎই সেই ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী মাহিন্দ্রা আলুতগামাগে। তাঁর দাবি, সেবারের বিশ্বকাপটি ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে এমন অভিযোগের বিরোধিতা করে প্রমাণ চেয়েছিলেন ১১ বিশ্বকাপে লংকান অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা।
আর সেই সময়ের নির্বাচক শ্রীলঙ্কার সাবেক ব্যাটসম্যান অরবিন্দ ডি সিলভা বলেছিলেন, শচীন টেন্ডুলকারের মান রক্ষার স্বার্থেই এই অভিযোগের তদন্ত করা উচিত। আর তারপরই ম্যাচটির বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ে তদন্তে নামে লংকান পুলিশ।
সম্প্রতি ইউটিউব এর একটি চ্যাট শো ‘ক্রিকেট আনপ্লাগডে’তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার এঞ্জেলো ম্যাথিউস বলেছেন, ‘ওটা ছিল আমার প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এর আগে ২০০৯ ও ২০১০ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি। সেদিক থেকে ২০১১ বিশ্বকাপ আমার কাছে ছিল বিশেষ কিছু। ফাইনালে ওঠার পথে দুর্দান্ত খেলেছি আমরা। সেমিফাইনাল জয়ের পর ফাইনালে খেলার জন্য উন্মুখ ছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত আমি চোট পাওয়ার কারণে খেলতে পারিনি।’ ফাইনালে ম্যাথিউস না থাকলে সেই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি।
সেদিনের ফাইনালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহেলা জয়বর্ধনের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জয়বর্ধনে ৮৮ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন। জবাবে লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩১ রানেই ২ উইকেট হারিতে চাপে পড়ে ভারত। তবে গম্ভীরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ধাক্কা সামলে ভিরাট কোহলির সাথে একটি জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভীত গড়ে দেন। ভিরাট ৩৫ রানে ফিরলে অধিনায়ক ধোনীর সাথে বড় জুটিতে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান গম্ভীর। শতক থেকে মাত্র ৩ রান দূরে ব্যক্তিগত ৯৭ রানে গম্ভীর ফিরলেও ৯১ রানের অপরাজিত ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলে দলকে শিরোপা এনে দেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনী। ৬ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রী যা–ই বলুন না কেন, ফাইনালে হার নিয়ে ম্যাথুসের আক্ষেপটা ভিন্ন, ‘আমরা ২০ থেকে ৩০ রান কম করেছি। আমাদেরও সুযোগ ছিল। কিন্তু গৌতম ও বিরাট ভালো ব্যাটিং করেছে। এরপর এমএস ধোনি বাকি কাজ শেষ করেছে। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক ম্যাচই ছিল।’
নিউজক্রিকেট টুয়েন্টিফোর / এম.এস