নিউজ ডেস্ক »
লালারস বা থুথু ব্যতীত পূর্বের ন্যায় বলে সুইং হবে বলে জানান ক্রীড়া সামগ্রী তৈরি প্রতিষ্ঠান ডিউক। প্রতিষ্ঠানটির দাবী ডিউক বলে সিম হাতে সেলাই এবং উন্নত মানের চামড়া ব্যবহার করা হয় বলে থুথু ব্যাতিতই সুইং এবং বাউন্স ঠিক রাখতে সক্ষম এই বল। ঘাম এবং তোয়ালের ব্যবহার করলেই দীর্ঘক্ষন বলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে সক্ষম ডিউক।
আগামী ৮’ই জুলাই ইংল্যান্ডে শুরু হচ্ছে ক্রিকেট। বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে কড়া স্বাস্থ্য নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে খেলবেন ক্রিকেটাররা। খেলোয়াড়দের সুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি নিয়মও পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে আইসিসি। খেলায় বলে উপর কোভিড-১৯ এর সবথেকে বড় বাহক লালার ব্যাবহার নিষিদ্ধ করেছেন আইসিসি। খেলা চলাকালীন বলে লালা ব্যাবহার করা যাবেনা বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। অথচ পিচের সাহায্য না পেলে পুরোনো বলে লালার ব্যবহার ব্যাতিত সুইং করানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। বিকল্প ব্যাবস্থার কথা ভাবলেও এখনও কোন ঘোষণা আসেনি আইসিসি থেকে। আপাতত ঘাম এবং তোয়ালে দিয়েই বলের চাকচিক্য ধরে রাখতে হবে বোলারদের৷
ক্রিকেটের এই নতুন নিয়মে বেশ ভুগতে হবে বোলারদের। বিপরীতে ব্যাটসম্যানরা পাবেন বাড়তি সুবিধা। পুরোনো বলে বোলাররা নখদন্তহীন বাঘের পরিনত হতে পারেন৷ ক্রিকেটের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তবে এই ভারসাম্যহীনতার কথা উড়িয়ে দিলেন ক্রীড়া সামগ্রী তৈরি প্রতিষ্ঠান ডিউক। এমনিতেও ইংল্যান্ড মুলুকসহ বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকদশক ধরে রাজত্ব করছে ডিউক। আসন্ন ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও খেলা হবে ডিউক বলেই। তবে লালা ব্যাতিতই বলের চাকচিক্য ধরে রাখতে সক্ষম বলে জানায় এই প্রতিষ্ঠানটি।
ভারতীয় ক্রীড়া প্রতিবেদক সন্দীপন ব্যানার্জীর এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির মালিক দিলীপ ঝাঝোরিয়া বলেন, ‘থুথু ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা ডিউক বলের উপর পরবেনা। অন্যান্য সংস্থার বলের সিম মেশিনে সেলাই করা হয়। আমরা হাতে সেলাই করি। তাই এর সিম উন্নত মানের। সেরা গুনগত মানের লেদার ব্যাবহার করা হয় এই বলে। থুথুর ব্যবহার না হলেও বলের বাউন্স, উজ্জ্বলতা আগের মতই থাকবে। ডিউক বলে বরাবরই সুইং হয়। এখনও এর কোন পরিবর্তন হবেনা।’
এছাড়াও বরাবরই ডিউক বলে অতিরিক্ত সুইংয়ের কথা স্বীকার করেছেন বোলাররা। পেসার কিংবা স্পিনার অনেক বোলারেরই পছন্দের তালিকায় সবার উপরের বল ডিউক। ইতিমধ্যে এই বলে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে ক্যারিবিয়ানরা। পুরোনো বলেও উইকেট পেয়েছেন পেসাররা। এতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে বোলারদের।
নিজেদের বলের মান নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী ডিউক। নতুন নিয়মে বলের আকৃতি বা গুণগত মানের নতুন কোন পরিবর্তন আনবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সরাসরি নাকোচ করেছেন দিলীপ ঝাঝোরিয়া। ডিউক বল এমনিতেই অনেকটা উন্নত মানের। তাই থুথুর ব্যাবহারের নিষেধাজ্ঞায় নতুন করে পরিবর্তনের কিছু নেই বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার। দিলীপ বলেন, ‘আমাদের বলের গুণগত মান এতোটাই ভালো যে বলে কোনরকম বদল করার কোন প্রয়োজন নেই।’
নিউজক্রিকেট/কেএমএএইচ