নিউজ ডেস্ক »
বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক বড় একটি নাম মোহাম্মদ রফিক। নিজের বা হাতের স্পিন জাদুতে মাঠ মাতিয়েছেন অনেকদিন। নিজের স্পিন ঘূর্ণিতে পরাস্থ করেছেন অনেক ব্যাটসম্যানকেই। হয়তো কিছুটা অবহেলায় ও ভুল সময়ে জন্ম নেয়ায় ক্রিকেটে বড় নাম হতে পারেননি। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতায় তার বোলিং জাদু কিংবা ব্যাটিংয়ে দূর্দান্ত ইনিংস গুলোকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেননি। তার সময়ে দেশের ক্রিকেটের অবস্থাও ছিলো নাজুক। তবে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে এমন একজন কোচ হিসেবে বিসিবির সাথে কাজ করবেন এমন টাই হয়তো ক্রিকেটপ্রেমীদের চাওয়া ছিলো! কিন্তু তাকে কি সুযোগ দেওয়া হলো????
একটা সময় খুব ইচ্ছে ছিলো তার কোচ হয়ে কাজ করার। সাবেক অনেক খেলোয়াড় ই এখন কোচিং করানোর মাধ্যমে ক্রিকেটের সাথে যুক্ত আছেন কিন্তু কোথায় কিংবদন্তি রফিক! তিনি চাইলেও বিসিবি কখনোই কোচের ব্যাপারে রফিককে আমলেই নেয়নি। কারণ বিদেশি কোচদের প্রতি ঝোঁক ছিলো বিসিবির। তবে এবছর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন রফিক। তিনিও মনে করেন বিসিবির সাথে কোচ হয়ে কাজ করার সুযোগ নেই।তাকে বিসিবি কখনো সাক্ষাৎকারের জন্যেও ডাকেনি।
সম্প্রতি নটআউট নোমানের ফেসবুক লাইভ শো তে রফিক জানান, ‘আমি শুধু সুনীলের (সুনীল জোশি) কথা বলবোনা, তার আগে রাজু আসছিল একবার ভারত থেকে। তখন আমি একাডেমির সাথে এক মাসের চুক্তিবদ্ধ। একাডেমির জন্যই তাকে ডাকা হয় (মূলত জাতীয় দলের জন্য)। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সে বলল রফিক ভাই থাকতে আমাকে কেন নিয়ে আসলেন? রফিক ভাইকে আমরা ভারতে নিয়ে যাই একাডেমিতে, এক সপ্তাহ, দশ দিন কাজ করে আসে। আমিই তার কাছ থেকে শিখি, আমাকে কি দরকার তাহলে? এরপর তাকেও নেয়নি আবার আমাকেও ব্রেক দিয়ে দিল।’
তবে একবার কোচ বানানোর জন্য রফিককে বিসিবি থেকে আশ্বস্থ করলেও সে ব্যাপারে আর কোনো কথাই আগায় নি। রফিক নিজেও কম চেষ্টা করেননি। সাবেক সিনিয়র সহ অনেক কর্মকর্তাকেই বার বার ফোন করেছেন তবে কেউই তাকে সাড়া দেয় নি। কেউ হয়তো বলেছে দেখছি বা কেউ বলেছে ব্যস্ত আছে। এভাবে অধরা রয়ে যায় বাংলাদেশের কিংবদন্তি রফিকের কোচিং করানোর স্বপ্ন। এছাড়া বসুন্ধরা স্টেডিয়াম বানাচ্ছে তো রফিককে সেই একাডেমির সব দায়িত্ব দেওয়া হবে এমনটাই রফিককে জানিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ইশতিয়াক। রফিকের স্বপ্ন এখন সেই একাডেমি ঘিরেই। বিসিবির সাথে কাজ করার সুযোগ যে হচ্ছে না সেটি তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
নিউজক্রিকেট/এইচএএম