নিউজ ডেস্ক »
দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন গঠনের দ্বায়িত্বটা খালেদ মাহমুদ সুজনের কছেই থাকে। তবে কোন ক্রিকেটার উত্থানের পর তার নামটাই থেকে যায় আড়ালে। কারণ তার কাজই যে নিরবে গেম ডেভলপমেন্টের কাজটা করে যান খালেদা মাহমুদ সুজন। দেশের দুই সম্ভাবনাময় পেসার তাসকিন আহমেদ এবং মোস্তাফিজুর রহমানের উত্থানটাও তার হাত ধরেই।
গেম ডেভলপমেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান হয়ে প্রথম এ্যাসাইনমেন্টেই তার চোখ পড়েছিলো মোস্তাফিজুর রহমানের দিকে। তারপর নেট বোলিং তারপরের গল্পটা সবার সামনেই ঘটে। রবিবার (১০’ই মে) তামিম ইকবালের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে সে গল্পই জানিয়েছেন সাবেক এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সুজন বলেন,’ চান্ডিকা (হাতুরা সিংহে) একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করে বাঁহাতি পেসার আছে কিনা? আমি বললাম দু’জন আছে। আবু হায়দার রনি এবং মুস্তাফিজ। তখন (আবু হায়দার) রনির কথা বলি, যে ও মূলত সুইং বোলার। মুস্তাফিজ জোরে বল করে, সুইং আছে আর কাটার ছাড়ে। কিন্তু খুবই কার্যকারী। তখন চন্ডিকা ওকে দেখতে চায়। মুস্তাফিজকে ফোনে বলি সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আয় তাড়াতাড়ি। আসার পর নেটে বোলিং করে। এরপর চন্ডিকা আমার কাছে এসে বলে, ও পাকিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি খেলতেছে। আমি বললাম তুমি নিশ্চিত? ও বলে আমি নিশ্চিত।’
এরপরই পাকিস্তানের বিপক্ষে স্বপ্নের অভিষেক, ভারতবধ একাধিক সিরিজে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করার গল্পটি সবারই জানা। তবে জানা ছিলোনা তার নেপথ্যে ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
এছাড়াও তাসকিন আহমেদকেও বিপিএলে অভিষেক ঘটানোটাও তার কল্যানেই। সেদিন ৪ ওভারের সেই বাজিটা জিতে যান তিনি। আর তাতেই দেশের ক্রিকেট আরও একজন স্পিড স্টার পেয়োছিলো। তাসকিনের অভিষেক প্রসঙ্গে সুজন বলেন,’ ও (তাসকিন আহমেদ) আমার চিটাগং কিংসে নেট বোলার ছিল। ওকে এরপর আমি দলে নেই। নেয়ার পর সবাই আমাকে বলে, আমি কি পাগল, যে ওকে খেলাতে চাই। এমনকি আমাদের নাসু ভাই, উনি বলে সুজন তুই কি পাগল যে ওরে খেলাবি? আমি বলি আমাকে খেলাইতে দেন তো, কি হবে, সর্বোচ্চ ৪ ওভার করবে। এরপর ওকে খেলাই, তাসকিন প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট পায়।’
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৫ এএম
নিউজক্রিকেট/কেএমএইচ