নিউজ ডেস্ক »
প্রায় ৪ মাস পর ইংল্যান্ড-উইন্ডিজ সিরিজের মধ্যে দিয়ে মাঠে ক্রিকেট ফিরলেও অনেক দেশই এখনো করোনার প্রকোপে মাঠের ক্রিকেটে ফিরতে পারেনি। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকায় ক্রিকেটাররা এক প্রকার মানসিক অবসাদে ভুগছেন। ব্যতিক্রম নন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হকও। করোনা পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে শক্ত থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। মানসিক ভাবে পিছিয় পড়তে চান না টেস্ট দলের অধিনায়ক।
এক সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ঘরবন্দি থাকা অবস্থায় তাদের যে বর্তমান পরিস্থিতি তা তুলে ধরেছেন মুমিনুল। ক্রিকেটের বাইরে থাকায় তিনি যে মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত সেটিই উঠে এসেছে তার কন্ঠে। মুমিনুল মনে করেন বাকি ক্রিকেটাররাও এই সমস্যায় রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গত মাসের ১৫ তারিখ থেকেই অপেক্ষায় আছি। মনে হচ্ছে আজই হয়তো মাঠে যেতে পারবো। কিন্তু কী আর করার! করোনার সংক্রামণ কমেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এমন অবস্থায় মাঠে যাই কী করে। সত্যি কথা বলতে কী এখন আমাদের মানসিকভাবে টিকে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ। ফিটনেস, স্কিল, এসব বিষয় মাঠে কিছু দিন সময় দিলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মনের মধ্যে এর যে প্রভাব ফেলছে তা থেকে বের হতে অনেক সময় লাগবে। এই মুহূর্তে বিসিবি মনোবিদ নিয়োগের যে চিন্তা করেছে তা খুবই ভালো। আমিও চাইবো মনোবিদের সঙ্গে সেশন করতে। এটি ভালো হবে আমাদের জন্য।’
মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়লে ফিরতে কষ্ট হবে বলে মনে করেন টেস্ট দলের এই অধিনায়ক। মাঠে ফিরতে পারলে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার সময় পাবেন তবে মানসিক ভাবে পিছিয়ে পড়লে সেটা মাঠের ক্রিকেটে সমস্যায় ফেলতে পারেন বলে মনে করেন তিনি।
করোনার মধ্যেও প্রায় ৪ মাস পর ক্রিকেট শুরুর কথায় মমিনুল বলেন, ‘দেখুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট শুরু করেছে। কিন্তু এখনো অন্য দেশগুলো শুরু করতে পারেনি। এমন নয় যে অন্য দেশগুলো খেলছে আর আমরাই কেবল বসে আছি। তাই যারাই ক্রিকেট শুরু করবে নতুনভাবে করতে হবে। আমাদের প্রতিটি ক্রিকেটারের মানসিকতা এমন হতে হবে যেন নতুন করে শুরু করছে। ফিটনেস ও স্কিল এগুলো আমাদের অভ্যাসের ব্যাপার। মাঠে নামলে হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু ঠিকই ফিরে পাবো নিজেদের। কিন্তু আপনি যদি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তাহলে আপনার সময় লাগবে অনেক বেশি।’
বর্তমান এই করোনা পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদেরকে নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিয়ে সুদিনের অপেক্ষ করতে বলেছেন মুমিনুল। ক্রিকেটারদের করণীয় সম্পর্কে উপদেশো দেন তিনি। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘এটি আসলে ক্রিকেটারদের নিজের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি সিনিয়র ক্রিকেটারদের কথা বলেন তাহলে সেটি ভিন্ন। কারণ তারা প্রফেশনাল ক্রিকেটে ১০/১৫ বছর কাটিয়েছে। প্রফেশনাল ক্রিকেটাদের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। সবার যে প্রভাব পড়বে তা নয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে। নেগেটিভ চিন্তা করা যাবে না। মনে করা যাবে না সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
নিউজক্রিকেট/এইচএএম