নিউজ ডেস্ক »
গত মাসেই এই করোনা মহামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ক্রিকেটার ইমরুল কায়েসের বাবা বানী আমিন বিশ্বাস। ২০ এ মার্চ একটি নসিমনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন ইমরুলের বাবা।তারপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।বাবাকে হারালেও অপ্রত্যাশিত এই ঘটনার জন্য তিনি মামলা-মোকদ্দমা তো করেনই নি বরং আটককৃত নসিমনের ড্রাইভার ও হেল্পারকেও ছেড়ে দিতে বলেন তিনি।
ইমরুল কায়েস মনে করেন, বাবাকে তো তিনি আর ফিরে পাবেন না তাই মামলা মোকদ্দমার ঝামেলাও করতে চান না যেহেতু সেটি ছিলো একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। ইমরুল কায়েস এক বার্তায় জানান যে, ওদের নামে মামলা করলে তো আমি আমার বাবাকে ফিরে পাবো না। ওদেরও পরিবার আছে,এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য কাউকে দায়ী করতে চাই না বলেই পুলিশকে বলেছি তাদের যাতে ছেড়ে দেয়।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু সাধারণ ব্যাপার।কারণ প্রতিদিনই অহরহ মানুষ এই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছেন। “নিরাপদ সড়ক চাই” এমন স্লোগানে অনেক আন্দোলনও হয়েছে ইতিপূর্বেই।তবে এখনো সে বিষয়ে ভালো কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।তবে ইমরুল কায়েসের মহানুভবতার বিরল দৃষ্টান্ত মানবতার আরেকটি উদাহারণ হিসেবে বিবেচনা করাই যায়।
বাংলাদেশ সময়ঃ ৯:০৫ পিএম
নিউজক্রিকেট/এইচএএম