নিউজ ডেস্ক »
ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির ডেভেলপম্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে ক্রিকেট অনগ্রসর দেশগুলোর ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক এবং অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বুলবুলের শুরুটা হয়েছিলো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ডেভেলপম্যান্ট কোচ হিসেবে। নিজেকে প্রমাণ করে বুলবুল এখন আইসিসিতে।
বিগত ১৪ বছর ধরে নিজের চ্যালেঞ্জিং এই ক্যারিয়ারে চীনে কেবল ক্রিকেট প্রচলনই করেননি পুরো চীনে দিয়েছেন ক্রিকেট ছড়িয়ে। যে দেশে ক্রিকেটের কোচ চলই ছিলো না সেই চীনে এখন প্রায় ১২ লাখ মানুষ ক্রিকেট খেলছে।
এশিয়ার ক্রিকেট নিয়ে বেশ আশাবাদী বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। এশিয়ার ক্রিকেট কেবল ভারত, পাকিস্তান,শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশে আটকে নেই। নতুন পরাশক্তি হিসেবে আফগানিস্তানের আগমন ঘটেছে। দিন দিন নিজেদেরকে আরো পরিণত করছেন রশিদ-নবীরা।
এদিকে ক্রিকেটে এশিয়ার আরেক দেশ নেপালের চর্চা বেড়েছে। একইসাথে ছোট্ট এই দেশটাতে ক্রিকেট পেয়েছে জনপ্রিয়তা। ছোট্ট দেশের বড় তারকা স্পিনার স্বন্দ্বীপ লামিচান আইপিএল,বিগ ব্যাশ মাতাচ্ছেন। আর এতেই নেপালের উঠতি ক্রিকেটাররা স্বপ্ন দেখছে। আইসিসির ডেভেলপম্যান্ট ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বুলবুলের মতে ভবিষ্যতে ক্রিকেটে নেপাল হবে আফগানিস্তান, পাবে টেস্ট মর্যাদা, তা মনে করছেন।
সম্প্রতি এক লাইভ আড্ডায় এসে নেপালের সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছেন বুলবুল। তিনি বলেন, ‘এক সময় নেপালের ক্রিকেট বোর্ড আইসিসির সাসপেনশনে ছিল। এখন ওদের জাতীয় দল, নারী দল,বয়সভিত্তিক দল,স্কুল ক্রিকেটকে আইসিসি দেখভাল করছে। সম্প্রতি ওরা ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়েছে। টি-২০তে ওরা ১৩-১৪ নম্বরে আছে (হবে ১৬)। নেপাল অসমতল দেশ। কোথাওকোথাও ২০-২১ হাজার ফুট উঁচু। দেশটির দক্ষিন অংশে কিছু সমতল জায়গা আছে। তবে ভৌগলিক দিক দিয়ে ওরা এডভানটেজ পাচ্ছে। ওদের সীমান্তে আছে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান কাছাকাছি। চীনর মানুষ ক্রিকেট কম দেখে। কিন্তু নেপালের টেলিভিশন খুললেই ক্রিকেট দেখা যায়। খেলা দেখে ৭৫ শতাংশ শেখা যায়। সেই দিক থেকে ওরা এগিয়ে। ওদের সামনে হিরো আছে। স্বন্দ্বীপ লামিচান,জ্ঞানেন্দ্র মাল্লা আছে। আশা করছি, নেপাল ভবিষ্যতে ক্রিকেটের আফগানিস্তান হবে। এশিয়া থেকে পরবর্তীতে টেস্ট কান্ট্রি হবে এই দেশটি।’