নিউজ ডেস্ক »
দেশের হয়ে ৫০ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের৷ অধিনায়ক হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বছর তিনেক। ক্রিকেটার হিসেবে নিজের সতীর্থ হিসেবে যাদেরকে পেয়েছেন এবার তাদের নিয়েই সেরা টেস্ট একাদশ গঠন করেছেন তিনি। হাবিবুল বাশার সুমনের গঠন করা সেরা টেস্ট একাদশ প্রকাশিত হয়েছে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর দ্য ক্রিকেট মান্থলিতে৷
হাবিবুল বাশার সুমন সেরা টেস্ট একাদশের ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সাথে রেখেছেন সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিমকে। বাশার মনে করেন গত ১৩ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের পারফরম্যান্স সেরা একাদশে থাকার জোর দাবি রাখে। এছাড়াও বাশারের মতে যেকোনো বোলিং আক্রমণের সামনে প্রতিরোধ গড়ার ক্ষমতা তামিমের রয়েছে।
তামিমের সাথে ওপেনিংয়ে বেলিমকে রাখার কারণ ব্যাথা করেছেন বাশার। তিনি বলেন, ‘মেহেরাব হোসেন অপি ও শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎও আমার পছন্দ। কিন্তু তারা দুজন নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু বেলিম ৪০ টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে।’ মোট কথা জাভেদ ওমরের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের সামর্থ্যের কারণেই সেরা একাদশে জাভেদকে বেছে নিয়েছেন সুমন।
তিন নম্বর পজিশন টেস্ট ক্রিকেটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই পজিশনে বাশারের পছন্দ আল শাহরিয়ার। বাশার মনে করেন নির্বাচকদের অধৈর্য্যের কারণেই শাহরিয়ার তার সম্ভাবনার পুরোটা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ জাতীয় দলে খেলার সময়ে বারবার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন হয়েছিল তার।
চার নম্বর পজিশন নিয়ে বাশারকে বেশ ভাবতে হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান ও সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সাথে আরেক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল বাশারের বিবেচনায় থাকলেও তাদেরকে ছাপিয়ে এই পজিশনে জায়গা করে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। একইসাথে সেরা একাদশের উইকেটরক্ষকও রাখা হয়েছে মুশফিককে। মুশফিক সব কন্ডিশনে বড় স্কোর করার সামর্থ্য রাখেন বলেই এই পজিশনে তাকে বেছে নিয়েছেন সুমন।
পাঁচ নম্বর পজিশনে বাশারের পছন্দ বাংলাদেশের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসানকে। বাশারের মতে সাকিব বোলিংয়ে কম মনোযোগী হয়ে টেস্ট ফরম্যাটে সাকিবের শতক আরো বেশি থাকতো।
চার নম্বর পজিশনে না থাকলেও বাশারের সেরা একাদশের ছয় নম্বর পজিশনে ঠিকই আছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। একইসাথে বাংলাদেশের সেরা টেস্ট একাদশের অধিনায়কের ভূমিকায় বুলবুলকে রেখেছেন সুমন।
সাত নম্বর পজিশনে রেখেছেন হার্ড হিটিং ব্যাটসম্যান আফতাব আহমেদকে। অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই আফতাবকে সেরা একাদশে রাখার কারণ জানিয়েছেন তিনি। বাশার বলেন, ‘আরো একটা মেধার অপচয়। আফতাবের ক্যারিয়ার আরো লম্বা হতে পারতো। ডারহামে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে ৮২ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছিলো৷ টেস্ট ফরম্যাটে ৬ বা ৭ নম্বর পজিশনে ব্যাট করার সক্ষমতা আফতারের আছে।’
বাশারের সেরা টেস্ট একাদশের বোলিং আক্রমণে আছেন তিনজন পেসার। এবং এর পাশাপাশি আছেন একজন স্পিনার। ক্লান্তিহীনভাবে একটানা বল করে যাওয়া স্পিনার মোহাম্মদ রফিককে একাদশে রেখেছেন বাশার। রফিককে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘যখনি উইকেট দরকার ছিল আমি রফিককে দিয়ে চেষ্টা করেছি।’
হাবিবুল বাশার সমুনের সেরা টেস্ট একাদশে পেসার হিসেবে আছেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, তাপস বৈশ্য এবং শাহাদাত হোসেন রাজীব।
এক নজরে হাবিবুল বাশার সুমনের সেরা টেস্ট একাদশঃ
তামিম ইকবাল, জাভেদ ওমর বেলিম, আল শাহরিয়ার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, আমিনুল ইসলাম বুলবুল (অধিনায়ক), আফতাব আহমেদ, মোহাম্মদ রফিক, মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, তাপস বৈশ্য ও শাহাদাত হোসেন রাজীব।