নিউজ ডেস্ক »
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ সময় পর আবারও মাঠে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। করোনা প্রকোপের পর বিশ্ব ক্রিকেটের বলতে গেলে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। ক্রিকেটাররা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মাঠে আনন্দ উল্লাস করছে। সেই সঙ্গে বলে থুথু বা লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
এ কারণে বাংলাদেশের পেসাররা মনে করেন করোনা পরবর্তী সময়ে বলের গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণই সবচেয়ে কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ম্যাচ দেখে এমনটাই ধারণা জেগেছে তাঁদের মনে। কারণ এই সিরিজ দিয়েই শুরু হলো বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ। যার কারণে ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চারকে নিজের শরীরের ঘাম দিয়ে বল চকচকে করতে দেখা গেছে।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পেসার এবাদত বলেছেন, ‘আমি মনে করি সামনের দিনগুলোতে বলের গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে। কারণ লালার ব্যবহার না থাকার কারণে বল খুব বেশি চকচকে করা যাবে না। চলতি টেস্ট ম্যাচে আমি দেখতে চেয়েছিলাম অ্যান্ডারসন কিভাবে বল সুইং করান। আমি দেখেছি উভয় দলই ঘাম দিয়ে বলকে চকচকে করার চেষ্টা করছিলো।’
এবাদতের সুরেই সুর মেলালেন বাংলাদেশের আরেক পেসার শফিউল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘আমি উভয় দলের বোলিং দেখেছি। আমার কাছে খুব বেশি পরিবর্তন চোখে লাগেনি। হোল্ডার দারুণ বোলিং করেছে। সে ভালো সিমের ভালো ব্যবহার করেছে। তারা ঘাম ব্যবহার করেছে বল চকচকে করার জন্য, বলের গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণের জন্য।’
গতিময় পেসার রুবেলের মতে, ‘মাঠে ফিরলেই আমরা বুঝতে পারবো, কোনটা কাজে লাগবে কোনটা লাগবেনা। তখন বোলারদের পক্ষে সুবিধা বা অসুবিধা কিনা সে সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা দিতে পারবো। মূলত নিজস্ব দক্ষতাই সবকিছু। আপনার দক্ষতার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে।’
নিউজক্রিকেট/শাওন