নিউজ ডেস্ক »
সবসময়ই কোনো না কোনো নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়ে আসছে পাকিস্তানের ক্রিকেট। সম্প্রতি নতুন ঘটনা জন্ম দিয়েছে উমর আকমল। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন রাখায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে হয়েছে উমর আকমলকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ডিসিপ্লিনারি কমিটির আইন বিভাগ আকমলকে এই শাস্থি দেন। পিসিবি সাবেক সভাপতি খালিদ মেহমুদ নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন পিসিবিকে নিয়ে। পিসিবি কেন এইসব বাজিকরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
পাকিস্তানের গনমাধ্যাম ডেইলি এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক পিসিবি সভাপতি এই প্রশ্ন তোলেন। তিনি মনে করেন পিসিবিও এর জন্য অনেকটাই দায়ী। বিষয়গুলো শুরু থেকেই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা না করার কারণেই এমনটা হয়েছে। পিসিবির উচিৎ এখন বাজিকরদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া।
সাবেক পিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘উমর আকমলকে নিষিদ্ধ হতে হয়েছে বাজিকরের প্রস্তাব গোপন করার কারণে। তাহলে পিসিবির উচিৎ এখন এই বাজিকরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। বাজিকরদের প্রতি পিসিবি এতো উদাসিন কেন সেটাই আমি বুঝি না। পিসিবির আইন উপদেষ্টা তফাজুল রিজভি অদ্ভুত এক যুক্ত দিয়েছেন এর পেছনে। বাজিকরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নাকি পিসিবির হাতে নেই। আমরা প্রশ্ন হলো পিসিবিতে এখন যদি চুরির ঘটনা ঘটে তখনও কি বোর্ড এই কথাই বলবে? নিশ্চই তারা পুলিশের কাছে গিয়ে চুরির ব্যাপারে অভিযোগ করবে। তাহলে পিসিবি কেন বাজিকরদের বিপক্ষে ফৌজদারি তদন্তের অনুরোধ করতে পারছে না?’
পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার পিসিবিকে পরোক্ষভাবে দায়ী করে কিছুদিন আগে পিসিবি ও এর আইন বিভাগের কঠোর সমালোচনা করেছন। এর জন্য শোয়েবকে মানহানির নোটিশও পাঠিয়েছে আইন উপদেষ্টা রিজভি। পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান ইউনিস খানকে পাশে পেয়েছেন শোয়েব আখতার। তিনি শোয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
ইউনিস খান বলেন, ‘তেতো হলেও শোয়েব কিন্তু সত্য কথাটাই বলেছে। এটার জন্য পিসিবি ও আইন বিভাগকে শক্ত হতে হবে। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের উন্নতির কথা চিন্তা করেই তাঁর (শোয়েব) কথার মূল্যায়ন করা উচিত পিসিবির। আমি শোয়েব আখতারের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।’
বাংলাদেশ সময়: ০১:২৫ পিএম
নিউজক্রিকেট২৪/এসএমএস