দিলশানের থেকে দীক্ষা নিয়ে সফল তামিম-মুমিনুল

নিউজ ডেস্ক »

ক্রিকেটে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যানের গুরুত্ব থাকে অনেক বেশি। বোলারের মানসিক অবস্থা আর বোলিংয়ের ধরণ অনুযায়ী নন- স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যানকে সাহায্য করে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তারা। আর ক্রিকেটের জন্মলগ্ন থেকে চলে আসা এই প্রথা পুরোপুরিভাবে অনুসরণ করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। তামিমের দেখাদেখি টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকও এই বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দেন।

তামিমের লাইভে এ ব্যাপারে জানা গেল, সাবেক শ্রীলঙ্কান ওপেনার তিলকারত্নে দিলশানের কাছ থেকে এই দীক্ষা নিয়েছে তামিম। এরপর তামিম সেটা ছড়িয়ে দেন পুরো দলের মধ্যে।

তামিমের লাইভে লিটন দাস, সৌম্য দরকার, তাইজুল ইসলাম ও মুমিনুল ইসলামকে নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। আর এর উন্মোচন করেছেন আরেক ওপেনার লিটন দাস।

লিটন বলেন, ‘মুমিনুল ভাইয়ের একটা বিষয় আমার ভালো লাগে। উনি অনেক কথা বলেন খেলার সময়টাতে। প্রায় প্রতটা বলেই কথা বলেন। আমার এটা ভালো লাগে। কেননা মাঠে দুজনেরই থাকতে হয় এক হয়ে, মাঠের বাকি সবাই তো আমাদের বিপরীতে থাকে।’

লিটনের এমন কথার প্রেক্ষিতে মুমিনুল বলেন, ‘আমি এটা শিখেছি তামিম ভাইয়ের কাছ থেকে। তামিম ভাই আপনি এটা নিয়ে কিছু বলেন যেন আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা এটা শুনে আরো শিখতে পারে।’

শ্রীলঙ্কান সাবেক ক্রিকেটার তিলকারত্নে দিলশানের কাছ থেকে এমন দীক্ষা নেওয়ার কথা সতীর্থদের আগেও বলেছেন তামিম ইকবাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শকদের সামনে সবকিছু খোলাসা করার তাড়না থেকে তামিম এই বিষয়টি নিয়ে আবারো বিস্তারিত কথা বলেন

তামিম জানান, ‘এটা আমাকে প্রথমে বলেছিলেন তিলকারত্নে দিলশান। তিনি বলেছিলেন যেসব ক্রিকেটার নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকেন তারা খেলা সবচেয়ে ভালো বুঝে। এরপর থেকে আমিও এটা মেনেই চলি। সৌম্যের সাথে কথা বলি এছাড়া লিটন ইদানিং অনেক কথা বলে ব্যাটিংয়ে নামলে।’

তামিমের কথার প্রেক্ষিতে আরেক ওপেনার সৌম্য এ ব্যাপারে জানান, ‘এটা সত্যিই অনেক কাজে লাগে। আমি মনে করি অনেক বেশি কাজে লাগে। অনেক বেশি চাপে থাকলেও অন্য প্রান্তের কারো কথায় সবকিছু মুহূর্তের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।’

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে মোটেও ভালো সময় কাটেনি তামিমের। পুরো বিশ্বকাপে আট ম্যাচ খেলে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি।

আর নিজের এই ব্যর্থতার প্রসঙ্গে তামিম জানান, ‘বিশ্বকাপে আমি এই সমর্থন (নন স্ট্রাইক ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে) একদমই পাইনি। আসলে সেভাবে হয়ে ওঠেনি এটা। হয়তো সমর্থনটুকু আমার খুব দরকার ছিল। কারণ আমি ফর্মে ছিলাম না।’

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »