নিউজ ডেস্ক »
করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে প্রথম রাউন্ডের পরেই বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। তবে আবার কবে মাঠে গড়াবে ডিপিএলের এবারের আসর সেটা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা।
একটা সময় ধারণা করা হচ্ছিল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ জুনের মধ্যে হয়তো শুরু হতে পারে। এখন শোনা যাচ্ছে আগামী তিন মাসের মধ্যেও ডিপিএল মাঠে গড়াবে কিনা সেটার কোন নিশ্চয়তা নেই। এমনকি যদি ডিপিএলের এবারের আসর আর মাঠে না গড়ায় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঠিক করবে এই সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এবারই প্রথম যদি লিগ স্থগিত অবস্থায় শেষ হয় তবে অবাক হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর ক্রিকেট কমিটির সদস্য সচিব আলী হোসেন এনটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘জুন কেন, আগামী দুই-তিন মাসেও ডিপিএল মাঠে গড়াবার কোন সম্ভবনা দেখতে পাচ্ছি না। কারণ খেলাধুলার ব্যাপারে এখনো সরকার থেকে আমরা কোন নির্দেশনা পাইনি৷ এমনকি ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকেও কোন নির্দেশনা আসেনি।’
আইসিসি থেকে বিসিবিকে পাঠানো স্ব্যাস্থবিধি জাতীয় দলের অধীনে থাকা ক্রিকেটাররা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবে ১২ টি ক্লাবে খেলা বাকি ২০০ ক্রিকেটারের উপর নজরদারি রাখা প্রায় অসম্ভবই মনে করছে সিসিডিএম।
তবে এদিকে লিগ মাঠে গড়ানো নিয়ে যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে এর দায় সিসিডিএমকেই দিচ্ছেন ক্রিকেটাররা। মূলত দেরি করে লিগ শুরু করার কারণেই এখন এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।
তুষার ইমরান দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম এনটিভিকে জানান, ‘ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একটা ক্যালেন্ডার ছিলো। কিন্তু সে ক্যালেন্ডার ফলো না করে প্রায় মাস দেড়েক পরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু করে সিসিডিএম। করোনাভাইরাসের কারণে লিগ তখন স্থগিত হয়েছে আর আমরাও সেটা মেনে নিয়েছি।’
খেলায় ফিরতে মরিয়া হলেও ক্রিকেটাররা নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারটাও চিন্তা করছেন। দর্শকহীন মাঠে খেলা পরিচালনা করার ব্যাপারটা বিসিবিকে চিন্তাভাবনা করে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন ইমরুল কায়েস। তিনি বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব বেশি দর্শক হয়না এমনিতেই। স্ব্যাস্থবিধি ও সরকারের নির্দেশনা মেনে যদি লিগ পুনরায় শুরু করা হয় তবে খুব বেশি সমস্যা হবে বলে মনে হয়না।’
এছাড়া সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে কোচের ভূমিকায় থাকা নাফিস ইকবাল এমন সংকট কাটিয়ে উঠার ব্যাপারটা পুরোটাই ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। এদিকে ক্লাব কর্মকর্তারাও মনে করছেন আপাতত ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো। প্রাইম দোলেশ্বরের কর্মকর্তা মোস্তাক হোসেন জানান, ‘যেকোনো একটা দলের যেকোনো ক্রিকেটার যদি কোনোভাবে করোনা আক্রান্ত হন তবে সেক্ষেত্রে পুরো দলকেই কোয়ারান্টাইনে চলে যেতে হবে। এতে যদি একটা সিজন চলেও যায় তবুও আমি বিশেষ কোন ক্ষতি হবে বলে মনে করি না। কারণ খেলার আগে অবশ্যই জীবন।’
ক্রিকেটারদের আর্থিক ক্ষতির কথা চিন্তা করে প্রিমিয়ার লিগ যদি বিলম্বতে শুরুও হয় সেক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের দুই আসর জাতীয় লিগ ও বিসিএল পিছিয়ে যেতে পারে। আর সেটা হয়তো মেনে নিতে হবে বিসিবিকে।
নিউজক্রিকেট/দুর্জয়