সবুজ দাস »
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট খেলা দেখতে বসলে আমার চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত একটা নাটকের সংলাপ মনে পড়ে যায়। ঐ কাহিনীটুকু ঠিক এমন ‘ চঞ্চল চৌধুরী প্রতিদিনই তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাস খেলায় হেরে যান৷ জয়ের দেখা পাননা। বাড়িতে ফিরলে তার স্ত্রী তাকে প্রশ্ন করেন, আজ খেলার কি খবর? চঞ্চলও স্রেফ জানিয়ে দেন, রেজাল্ট একই। প্রত্যেক দিন যা হয় ‘। আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের অবস্থাও ঠিক এমনই। দিন আসে দিন যায় পরিবর্তনের ছিটেফোঁটাও নেই। দিনশেষে হারের পাল্লাটাই ভারী।
ক্রিকেট বোদ্ধাদের কাছে টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোচ্চ মানদণ্ডে বিবেচিত। প্রতিটা ক্রিকেটারই সপ্ন দেখেন টেস্ট খেলার। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের অভিষেক হয় ২০০০ সালের নভেম্বরে। ২২ বছর পার করে ফেলেছি। সাফল্য বলতে তেমন কিছুই না! এমনকি আমাদের প্রথম টেস্ট জয় আসে পাঁচ বছর পরে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২২ বছরে টেস্ট অধিনায়কত্বেও পরিবর্তন এসেছে অনেক। টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব কারা পেয়েছেন এখন পর্যন্ত একটু দেখে নিন একনজরে – নাইমুর রহমান দূর্জয়,খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন, সাকিব আল হাসান, হাবিবুল বাশার সুমন,মোহাম্মদ আশরাফুল,মাশরাফি বিন মোর্তজা, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হক,মুশফিকুর রহিম।
দায়িত্ব বদলেছে বারবার কিন্তু ভাগ্য বদলায়নি বাংলার টেস্ট ক্রিকেটের৷ টেস্ট ক্রিকেটে কেন এই ব্যর্থতা? প্রশ্ন জাগে মনে উত্তর মেলেনা! তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পারে টেস্ট ক্রিকেটের এই দৈন্যদশা থেকে মুক্তি দিতে। কিছু পদক্ষেপ ভাগ্য বদলে দিতে পারে আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের৷ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারতসহ ক্রিকেট বিশ্বের অনেক দেশই এখন তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা দল নামায়। আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। আমাদের সেই পথে পা বাড়ানো উচিৎ। বিভিন্ন সময়ে গুঞ্জন শোনা যায় আমাদের অনেক ক্রিকেটাররা টেস্ট খেলতে চাননা তবুও বাধ্য হয়ে খেলতে হয়। কি দরকার? যার পছন্দ হবে না তিনি খেলবেন না। নতুন খেলোয়াড় খুঁজতে হবে৷ বেশি বেশি চারদিনের ম্যাচের আয়োজন করতে হবে৷ তাহলেই হয়তো টেস্ট ক্রিকেটের দৈন্যদশা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে৷