নিউজ ডেস্ক »
নিমবাস স্পোর্টস বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে প্রায় দীর্ঘদিন কাজ করেছিলো। তবে সেই নিমবাস স্পোর্টস ই এখন আইনগত ভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে। এদিকে বিসিবি পূর্বেই বড় অংকের টাকা নিমবাস স্পোর্টস থেকে পায় সেটি নিয়েও রয়েছে আইনগত ঝামেলা। অপরদিকে সিঙ্গাপুরের আদালতে নিমবাস স্পোর্টস এর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি ৬ বছরের চুক্তিবদ্ধ হয় নিমবাস স্পোর্টস এর সাথে। ৫৬.৮৮ মিলিয়ন ডলারের এই চুক্তির ব্যাংক গ্যারান্টি না থাকায় দ্রুতই ত্রুটি ধরা পড়ে।
নিমবাস স্পোর্টস এর কাছে প্রায় ৩২ মিলিয়ন ইউএস ডলার দাবি করে সিঙ্গাপুরের আদালতে একটি আনুষ্ঠানিক পত্র পাঠায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ ৩ কোটি ১৭ লাখ ৮ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে কয়েকটি সিরিজে মাঠে না গড়ানো ম্যাচ ও উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে নিমবাস স্পোর্টস এর কাছে প্রায় ২১-২২ মিলিয়ন ডলার পায় বিসিবি।তবে এখন সেটির আশাও ছেড়ে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট সংস্থা। নিমবাস স্পোর্টস এমনিতেই সিঙ্গাপুর সরকার থেকে দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে যার ফলে বিসিবিকে গত ২২ মে চিঠির মাধ্যমে তারা জানায় ২১ দিনের মধ্যে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার এরপর আর সুযোগ নেই।তবে বিসিবি আইনি ঝামেলায় যেয়ে আর টাকা খরচ করতেও চান না। ইতিমধ্যেই পাওনা টাকাও হারিয়েছেন মামলায় জড়ালে অতিরিক্ত খরচ হবে যা কোনো সুফল বয়ে আনবে না। গত ৬ ই জুন এটর্নি জেনারেল মাহবুব আলমের পরামর্শে সিঙ্গাপুরের আদালতে অনাপত্তিপত্র পাঠায় বিসিবি।
আ.হ.ম মুস্তফা কামাল বিসিবি সভাপতি থাকাকালীন নিমবাস স্পোর্টস ১১ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সমঝোতা করতে চেয়েছিলো। তবে সমালোচনা সইতে হবে ভেবে সেদিকে এগোয়নি বিসিবি। সিঙ্গাপুরের আদালতে নিমবাস দাবি করেছে যে বিসিবি তাদের কাছে ১১মিলিয়ন ডলারই পায়। নতুন ভাবে বিসিবি মামলা না করলেও পুরোনো মামলা চালিয়ে যেতে চায় বিসিবি। এ ব্যাপারে নিজামউদ্দিন বলেন,’তাদেরকে মাফ করার সুযোগ নেই। বরং আগের মামলা টা চালিয়ে যেতে চাই। ধরুন কখনো তাদের থেকে নিরেট কিছু বেরিয়ে এলো সেক্ষেত্রে আমরা কিছুটা তো লাভবান হতে পারবো’।
নিউজক্রিকেট/এইচএএম