জাকির মামুন »
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম মারকুটে ব্যাটসম্যান ছিলেন আফতাব আহমেদ৷ ২০০৪ সালে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার৷ একই বছরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ও অভিষেক হয়। দেশের হয়ে ১৬টি টেস্ট ম্যাচ, ৮৫ টি একদিনের ম্যাচ ও ১১টি টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি৷ ভারত, শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ বড় বড় দলের বিপক্ষে প্রথম জয় পাওয়ার পিছনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন এই ব্যাটসম্যান৷ দলের প্রয়োজনে মাঝে মাঝে বল হাতে উইকেটও নিয়েছেন তিনি৷ ২০১৪ সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানেন এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান৷
পরবর্তীতে পেশা হিসেবে কোচিং পেশাকে বেছে নিয়েছেন৷ প্লেয়ার হিসেবে যেমনটা সফল ছিলেন কোচ হিসেবে ও মোটামুটি সফল তিনি৷ গতবছর ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে তার কোচিং নৈপুণ্যে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ রানার্সআপ হয়৷ এছাড়াও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিদেশী ফ্র্যাঞ্জাইজি লীগে কোচিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আফতাবের৷
নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার, কোচিং ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগতজীবন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন আমাদের নিউজক্রিকেট২৪ডট কম এর প্রতিবেদক জাকির মামুনের সাথে৷
দীর্ঘ আলাপের মূল অংশটুকু পাঠকদের উদ্দেশ্যে হুবহু তুলে ধরা হলো৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ আপনার বয়সী কিংবা আপনার সাথে খেলেছে এমন অনেক প্লেয়ার এখনও খেলে যাচ্ছেন। ইচ্ছে করলে আরো দু-চারটি বছর খেলতে পারতেন এত তাড়াহুড়া করে কেন অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন?
আফতাব আহমেদঃ ছোটবেলা থেকেই আমি খুব ভালো পারফর্মার ছিলাম। রান করার ক্ষুধা সব সময় আমার থাকতো। পাড়ার ক্রিকেট থেকে শুরু এরপর স্কুল ক্রিকেটসহ বিভিন্ন ক্লাব ভিত্তিক খেলায় আমি সবসময়ই রান করার চেষ্টা করতাম এবং ভাল রান করতাম। কিন্তু ২০১৪ সালের দিকে এসে দেখলাম যে আমার ব্যাটে ভালো রান আসছে না। সেটা আমি কখনো মেনে নিতে পারিনি। সেজন্য ভাবলাম না আর না, এবার থামা উচিত। তাই হঠাৎ অবসর টা নিয়ে নিলাম।
নিউজক্রিকেট২৪ঃ কোচিং পেশায় কেনো আসলেন?
আফতাব আহমেদঃ অবসর নেওয়ার পর আমি কখনও ভাবিনি আমি এই পেশায় আসবো। সত্যি কথা বলতে কি আমি ক্রিকেটের সাথে থাকতে চাইনি। পরবর্তীতে দেখলাম ক্রিকেটের জন্য আমার মন কাঁদে আর এক্ষেত্রে আমার কিছু করার আছে। এরপর থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি কোচিং এর কাজটা শিখবো এবং করবো। যেই চিন্তা সেই কাজ, এরপর থেকে শুরু করে দিলাম কোচিং এর কাজ।
নিউজক্রিকেট২৪ঃ আপনার জন্য কোচিং পেশাটা কতটুকু চ্যালেঞ্জিং ছিলো ?
আফতাব আহমেদঃ কোচিং এর কাজটা শুধু চ্যালেঞ্জিং না অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং আমি বলবো। কেনোনা পুরো একটি টিমকে নিজের মতো করে আনা, সবার মন মানসিকতাকে একই ধারায় নিয়ে আসা , সবার সেরাটা বের করে আনা সবকিছুই করতে হয় একজন কোচকে। দেখুন যখন আমি প্লেয়ার ছিলাম তখন শুধু আমি আমাকে নিয়ে ভাবতাম, খারাপ হলে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করতাম। কিন্তু এখন আমাকে সবাইকে নিয়ে ভাবতে হয়। সবার জন্য কাজ করতে হয়। আমার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, কোচিং পেশাটা চ্যালেঞ্জিং হলেও সেটা আমি উপভোগ করছি। প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখছি। আর সেটা পরবর্তীতে প্রয়োগ করার চেষ্টা করি।
নিউজক্রিকেট২৪ঃ মোহামেডান ক্লাবের ব্যাটিং কোচ হিসেবে একটা সময় কাজ করেছেন৷ গতবার ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে আপনার কোচিং নৈপুণ্যে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ রানার্সআপ হয়, বিষয়টি কিভাবে মুল্যায়ন করবেন?
আফতাব আহমেদঃ দেখুন সকল কোচেরই নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে৷ আমার ও লক্ষ্য ছিলো দলকে ভালো একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া ৷সেটা হয়তো অনেকটা পেরেছি বলে ভালো লাগছে৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ প্রথম বাংলাদেশী কোনো কোচ হিসেবে বিদেশে কোনো ফ্র্যাঞ্জাইজিভিত্তিক লীগে একটি দলের হয়ে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে আপনার৷ কোচিং ক্যারিয়ারে আপনার জন্য তা কতটুকু প্রাপ্তির ছিলো ?
আফতাব আহমেদঃ বিদেশের মাটিতে বিদেশী ফ্র্যাঞ্জাইজি লীগের “বাংলা টাইগার্স” নামক একটি দলের কোচের দায়িত্ব পেয়েছি৷ আসলে সেটা আমার কাছে স্বপ্নের মত ছিলো৷ দল গঠন করার পূর্বে তাদের কয়েকটি মিটিং এ আমাকে ডেকেছেন, আমি গিয়েছি৷ কিন্তু কোচের দায়িত্বটা আমাকে দিবেন সেটা আমি কখনও কল্পনায় আনতে পারেনি৷ এতো অল্প সময়ে এত বড় দায়িত্ব পাওয়াটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া বলে আমি মনে করি।
নিউজক্রিকেট২৪ঃ বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে কোচিং করার অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিলো?
আফতাব আহমেদঃ আমি কোচ হিসেবে অনেক কিছু শিখেছি৷ প্লাঙ্কেটের মত অনেক বিদেশী সেরা প্লেয়ার দলে ছিলো৷ তাদের পেশাদারিত্ব আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে৷ ওদেরকে যেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বলেছি ওরা শতভাগ চেষ্টা করেছে৷ কিছু বলার আগেই তারা তাদের দায়িত্বের প্রতি সজাগ ছিলো৷ যদি পরিকল্পনা ত্রুটি থাকতো তাও তারা করার চেষ্টা করতো৷ মুলকথা , কোচের নির্দেশনা শতভাগ মানার চেষ্টা করতো৷ ভুল হলে পরবর্তীতে শেয়ার করতো ,বলতো হয়তো এটা এভাবে করা উচিৎ ছিলো৷ তাই আমি মনে করি, আমাদের দেশীয় প্লেয়ারদেরও উচিৎ কোচের উপর শতভাগ আস্থা রাখা৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ বাংলাদেশ দল জয়ের পেছনে আপনার অনেকগুলো ইনিংসের অবদান রয়েছে। তন্মধ্যে সেরা ইনিংস হিসেবে কোনটিকে বেছে নেবেন?
আফতাব আহমেদঃ আসলে আমার অনেকগুলো ইনিংস বাংলাদেশ জয়ের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। প্রত্যেকটি ইনিংস আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং পছন্দের। শততম ওডিআই তে ইন্ডিয়ার বিপক্ষে জয়ে আমার অর্ধশতক, ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের সাথে আমার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি, ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার সাথে প্রথম জয়ের ইনিংসটা, ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের ইনিংস , ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কার্যকরী ইনিংস সবগুলোই আসলে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে বলছি কেনোনা প্রত্যেকটি ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাকে খেলতে হয়েছে, এটা আমি ভালো পেরেছি ও বটে। দিনশেষে দল জয়লাভ করেছে।
নিউজক্রিকেট২৪ঃ ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার গিলেস্পিকে ও ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জহিরখান কে ক্রিজের অনেকখানি এগিয়ে এসে যে অসাধারণ দৃষ্টিনন্দন ছয় মেরেছেন তা এখনো দর্শকের মনে ভাসে। এ সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন
আফতাব আহমেদঃ আসলে ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই আমার শট খেলার প্রবণতা বেশি ছিলো। আমি একটু বেশি শট খেলতে পছন্দ করতাম। গিলেস্পি ,জহির খান ছাড়াও অনেক ভালো ভালো বোলারকে আমি ছয় মেরেছি৷ এটা যেমন দর্শকদের কে আনন্দিত করতো তেমনি আমার কাছেও অনেক ভালো লাগতো৷ আমার মুল লক্ষ্য ছিলো দর্শককে আনন্দ দিয়ে দলকে ভালো কিছু দেওয়া।
নিউজক্রিকেট২৪ঃ আপনার বিধ্বংসী ব্যাটিং এর জন্য সমর্থকরা বুমবুম আফতাব বলতেন৷ এই বিষয়টি কতটা উপভোগ করতেন?
আফতাব আহমেদঃ সমর্থকদের ভালোবাসা যেকোনো খেলোয়াড়ের মুল সম্পদ৷ মানুষ আমাকে ভালোবেসে বুমবুম আফতাব বলতো তা আমার কাছেও ভালো লাগতো৷ অনেকসময় বুমবুম আফতাব লেখা সংবলিত প্লেকার্ড গ্যালারিতে দেখতাম৷ তা দেখেও মাঝে মাঝে অনুপ্রাণিত হতাম৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ অধিকাংশ প্লেয়ারই উইকেটে থিতু হতে সময় নেন৷ কিন্তু আপনি প্রথমদিক থেকে পাওয়ার হিটিং ব্যাট করতেন৷ আর সেটা কেনো করতেন?
আফতাব আহমেদঃ আমার স্টাইলই ছিলো এটা বলতে পারেন৷ আমি একটা কথা সবসময় মনে রাখতাম , বোলারকে কখনও সুযোগ দেওয়া যাবেনা৷ মেরে খেললে যেকোনো প্লেয়ারই কিছুটা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে পেলে৷ তখন নিজেদের লাইন লেন্থ ঠিখ রাখা কঠিন হয়ে যায়৷ আর এই সুযোগ টা আমি কাজে লাগানোর চেষ্টা করতাম৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ তাড়াহুড়ো ব্যাট করতে গিয়ে অনেক সময় ব্যর্থ হয়েছেন৷ কোচ কিংবা অধিনায়ক থেকে কেমন ধরনের জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতেন?
আফতাব আহমেদঃ আমার ক্যারিয়ারের অধিকাংশ ম্যাচেই হাবিবুল বাশার ভাই আর আশরাফুল অধিনায়ক ছিলেন৷ তিনারা কখনও আমাকে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করেন নি৷ বলতে গেলে সবসময় সাপোর্ট দিয়েছেন ৷ হোয়াইটমোর ও অনেক সহায়তা করেছেন৷ স্কিলের বিষয়ে বুঝিয়ে দিতেন কিন্তু হার্ড হিটিং ব্যাটিং এর জন্য কখনও তাঁর বারন ছিলোনা৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ অনেকের সাথে ব্যাটিং করেছেন আপনি। কার সাথে ব্যাটিং করতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো?
আফতাব আহমেদঃ অবশ্যই আশরাফুল। আমি আশরাফুলের সাথে ব্যাট করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম। যেহেতু আমি তিনে এবং আশরাফুল চারে ব্যাট করতো সেহেতু অধিকাংশ খেলায় তার সাথে আমি জুটি গড়েছি। আমাদের সাথে পারস্পরিক যোগাযোগ টা ভালো ছিলো। আশরাফুলকে দেখে আমি অনুপ্রাণিত হতাম। ও যেভাবে ব্যাটিং করতো সত্যিই অনেক ভালো লাগতো। আপনারা জানেন, আশরাফুলের ব্যাটিং স্টাইল এর কারণে বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন।
নিউজক্রিকেট২৪ঃ ক্রিকেটার না হলে কি হতেন?
আফতাব আহমেদঃ এই প্রশ্নটা আমার জন্য খুবই জটিল ৷ কেনোনা ওভাবে আমি কখনও ভাবিনি৷ ক্রিকেটার হওয়ার পিছনে বাবার অবদানটা বেশি ছিলো৷ তিনি বলতে গেলে জোর করে মাঠে নিয়ে যেতেন৷ বাবার কল্যাণেই আমি ক্রিকেটার হয়েছি৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ অধিকাংশ খেলোয়াড়ের বাবারা প্রথমদিকে খেলাধুলায় বারণ করতেন কিন্তু আপনার বাবা আপনাকে এগিয়ে দিলেন৷ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
আফতাব আহমেদঃ এটা আমার সৌভাগ্য৷ আসলে ওই সময়ে বিষয়টি ওভাবে মুল্যায়ন করিনি৷ এখন খুব ভালোভাবে বুঝতেছি৷ দেখুন, আমি যেকোনো পেশার মানুষ হতে পারতাম কিন্তু সব পেশায় অতটা সম্মান ভালোবাসা নাই যেটা ক্রিকেটে আছে। সম্মান, ভালোবাসা সবই পেয়েছি আমি। সেজন্য বাবার নিকট আমি সবসময় কৃতজ্ঞ৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ আপনাদের সময়ের ক্রিকেট আর বর্তমান ক্রিকেটের তফাৎ টা কোথায় মনে করেন?
আফতাব আহমেদঃ এখনকার দলের অধিকাংশ প্লেয়ারই মেধাবি৷ তাছাড়া আমাদের চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে৷ আগে তেমন বিশেষঙ্গ কোচ কম ছিলো৷ এখন তারা বিশ্বমানের কোচের কোচিং নিতে পারছে৷ অনুশীলন করার জন্য আধুনিক সরঞ্জাম পাচ্ছে৷ নিজেকে ফিট রাখার জন্য আধুনিক জিম ব্যবস্থা পাচ্ছে৷ আমরা একটি পর্যায়ে নিয়ে দিয়েছি তারা এখন আরও ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে৷ আমরা যেটা পেয়েছি আকরাম ভাইরা কিন্তু তা পায় নাই৷ সময়ের সাথে সাথে সুযোগ-সুবিধা বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক৷ সবচেয়ে মুল তফাৎ হলো, আগে জয়ের হার কম ছিলো এখন অনেকটা বেশি৷ এখন যেকোনো দল বাংলাদেশকে সমীহ করতে বাধ্য৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ একটা বিষয়ে খেয়াল করলে দেখবেন, বর্তমান সময়ে তরুণ প্লেয়াররা দলে আশানুরুপ ধারাবাহিক হতে পারছেন না৷ বিষয়টা কেনো হচ্ছে আপনি মনে করেন?
আফতাব আহমেদঃ এখনকার তরুন প্লেয়াররা অনেক ট্যালেন্ট৷ আপনি সৌম্য, বিজয়, সাব্বিরদের ক্রিকেটমেধা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই৷ ওদের যে পটেনশিয়াল(শক্তি)আছে ওরা নিজেরা ও জানেনা৷ আমি মনে করি শট সিলেকশানে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিৎ৷ ইনিংস টা বড় করতে পারলে আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে যাবে৷ মুশফিকের ব্যাটিং টা অনুসরণ করলে দেখা যায় ও কিন্তু বলের মেরিট বুঝে খেলার চেষ্টা করে৷ তাদেরকে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ আপনার মতে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা অধিনায়ক কে?
আফতাব আহমেদঃ অবশ্যই মাশরাফি৷ তার অধীনে খেলতে না পারলেও তার অধিনায়কত্ব আমার ভালো লাগে৷ অধিনায়ক হিসেবে তার সবচেয়ে বড় গুণ সবার সমস্যাগুলো বুঝতে পেরে দ্রুত সমাধান ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে ৷ আরেকটা বিষয় হচ্ছে, প্লেয়ারদের দুঃসময়ে ও অনেক সমর্থন দেয়৷ যার কারণে পরবর্তীতে দলের প্রতি তাদের ভালোবাসা আর আবেগটা অনেক বেশি কাজ করে এবং তারা ভালো ফলাফল করতে পারে৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ কেমন চলছে আপনার ‘আফতাব আহমেদ ক্রিকেট একাডেমী’?
আফতাব আহমেদঃ আলহামদুলিল্লাহ ৷ করোনার কারনে একাডেমীর কার্যক্রম স্থগিত। আমাদের দু’টি শাখা রয়েছে৷ সেখানে অনেক তরুণ-প্রতিভাবানদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি৷ তৃণমুল থেকে মেধাবীদের তুলে আনার নিমিত্তে আমার এই প্রয়াস৷ সবচেয়ে ভালো হতো, যদি ভালো কোনো মাঠ পেতাম ৷ তাহলে আমাদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যেতো৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ অবসর সময়ে কি করতে ভালোবাসেন?
আফতাব আহমেদঃ বাচ্চাদের আমি অনেক পছন্দ করি। বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে৷
নিউজক্রিকেট২৪ঃ কোচিং পেশা নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
আফতাব আহমেদঃ আমি আমার জায়গা থেকে পেশাদারিত্বের সবচেয়ে বড় প্রমাণ রাখতে চাই৷ ব্যক্তিগত জীবনে যে অভিজ্ঞতাটুকু আছে তা ছড়িয়ে দিতে চাই৷ জাতীয় দলের পাইপলাইন হিসেবে নতুন নতুন প্লেয়ার একাডেমীর মাধ্যমে তুলে আনতে চাই।
নিউজক্রিকেট২৪ঃ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার কোচিং ক্যারিয়ার সাফল্যমন্ডিত হোক সেই কামনা করি।
আফতাব আহমেদঃ আপনাকে ও নিউজক্রিকেট২৪ ডট কমের সকল পাঠক কে ধন্যবাদ জানাই।